মুক্তির পথ
যিশু বললেন, আমিই পথ, আমিই সত্য, আমিই জীবন; আমার মধ্যে দিয়ে না গেলে কেউই পিতার নিকট পৌঁছাতে পারবে না। (জন, ১৪।৬)
প্রভু যিশু খ্রিস্টে বিশ্বাস রাখো, তাইলেই তুমি মুক্তি পাবে, তোমার পরিবার-পরিজনও মুক্ত হবে। (প্রেরিত, ১৬।৩১)
যদি মুখে প্রভু যিশুকে স্বীকার করো, যদি অন্তরে বিশ্বাস করো যে ঈশ্বর তাঁকে মৃত্যুলোক থেকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন, তবে মুক্তি পাবেই। (রোমীয়, ১০।৯)
দুঃখে সান্ত্বনা
ধন্য ঈশ্বর! ধন্য আমাদের প্রভু যিশু খ্রিস্টের পিতা! ধন্য করুণাময়! ধন্য দয়াময়! সমস্ত দুঃখে, সমস্ত সংকটে তিনিই আমাদের সান্ত্বনা দেন। তাঁরই বলে আমরা অন্য দুঃখীকেও সান্ত্বনা দিতে পারি। আমরা যেমন খ্রিস্টের যন্ত্রণার ভাগী হয়েছি, তেমনি তাঁর কাছে সান্ত্বনাও পেয়েছি প্রচুর। (করিন্থীয় দুই, ১।৩-৫)
আমরা যখন দুর্বল হয়ে পড়ি তখন পবিত্র আত্মাই আমাদের সাহায্য করেন; কারণ, সে অবস্থায় আমরা ঠিক ঠিক প্রার্থনা করতে পারি না: কিন্তু আমাদের অব্যক্ত আর্তনাদের মধ্যে দিয়ে পবিত্র আত্মা স্বয়ং আমাদের হয়ে প্রার্থনা করেন। অন্তর্যামী পবিত্র আত্মার মন জানেন, কারণ তিনি যে ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারেই সন্তদের হয়ে প্রার্থনা করেন। আমরা তো জানি, ঈশ্বরকে যারা ভালবাসে, যারা তাঁর কাজ করার জন্য আহূত হয়, সকল পরিস্থিতিতেই ঈশ্বর তাঁদের কল্যাণ করেন। (রোমীয়, ৮।২৬-২৮)
যন্ত্রণায় আরাম
এর (যন্ত্রণা) হাত থেকে নিষ্কৃতির জন্য তিন বার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছিলুম। কিন্তু তিনি আমাকে বলেন, আমার আশীর্বাদই তোমার পক্ষে যথেষ্ট। তোমার দুর্বলতায় আমার শক্তি পূর্ণতা পায়। তাই আমার দুর্বলতা নিয়ে আমি সানন্দে গর্ব করব যেন খ্রিস্টের শক্তি আমার মধ্যে সঞ্চারিত হতে পারে। তাই তো খ্রিস্টের জন্য সকল প্রকার দুর্বলতা, অপমান, অনটন, নির্যাতন ও বিপদ আমি হৃষ্টচিত্তে বহন করি; কারণ আমি যখন দুর্বল, তখনই তো আমি শক্তিমান। (করিন্থীয় দুই, ১২।৮-১০)
যিনি পাপীদের এত বিরুদ্ধাচারণ সহ্য করেছিলেন, তাঁর কথা ভাবো – তাহলে আর তোমাদের মনে হতাশা জাগবে না। পাপের বিরুদ্ধে তোমাদের সংগ্রাম এখনও রক্তক্ষয়ী আকার ধারণ করেনি। তোমরা কি সেই আশ্বাসবাণীটি ভুলে গেলে যেখানে তোমাদের পুত্র বলে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, বৎস, প্রভুর শাসনকে তুচ্ছ কোরো না। তিনি অনুযোগ করলে হতাশ হয়ো না। কারণ, প্রভু যাকে ভালবাসেন, তাকেই শাসন করেন; যাকে পুত্ররূপে গ্রহণ করেন, তাকেই প্রহার করেন। ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে পিতাসুলভ আচরণই করছেন। কোন পিতা তাঁর পুত্রকে শাসন করেন না? সংশোধিত হওয়ার জন্যই তো তোমরা কষ্ট সহ্য করছ। সবাইকে তিনি যেভাবে সংশোধন করেন, তোমাদের যদি সেভাবে সংশোধন না করা হয়, তবে তোমরা পুত্র নও, জারজ সন্তান মাত্র। তাছাড়া, আমাদের রক্তমাংসের পিতা আমাদের শাসন করলেও আমরা তাঁদের শ্রদ্ধাই করে থাকি; তবে বিশ্বপিতা যিনি তাঁকে আরো বেশি মান্য করে জীবন লাভ করব না কেন? রক্তমাংসের পিতা কিছুদিন মাত্র তাঁদের বিচারবুদ্ধি দিয়ে আমাদের শাসন করেন। কিন্তু ঈশ্বর আমাদের প্রকৃত মঙ্গলের জন্য শাসন করেন; যাতে আমরাও তাঁর পবিত্রতার অংশীদার হতে পারি। শাসন আপাতদৃষ্টি সুখকর কখনই নয়, বরং তা বেদনাদায়ক। কিন্তু ঈশ্বর যাঁদের শাসন করে শেখান, তাদের পক্ষে শাসন পরবর্তীকালে শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় জীবন যাপনে সাহায্য করে। সুতরাং শিথিল বাহু তুলে ধরো তোমরা, অবসন্ন পা-দুটি সবল করো, উঠে দাঁড়াও দৃঢ় পদে। (হিব্রু, ১২।৩-১২)
সিদ্ধান্তগ্রহণে সহায়তা
তোমাদের কারোর জন্য জ্ঞানের অভাব হয়, তবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা কোরো, পাবে। তিনি কোনো অনুযোগ না করে উদার হস্তে সকল মানুষকেই জ্ঞান প্রদান করেন। কিন্তু মনে সন্দেহের লেশমাত্র না রেখে বিশ্বাসে নির্ভর করে চাইতে হবে। মনে রেখো, সন্দেহকারী মানুষ বায়ুতাড়িত বিক্ষিপ্ত আলোড়িত সমুদ্রতরঙ্গের মতো হয়। এই ধরনের দ্বিধাগ্রস্থ মানুষ, যার মনের কোনো স্থিরতা নেই, সেই প্রভুর কাছ থেকে কিছুই পাওয়ার প্রত্যাশা করে না। (জেমস, ১।৫-৮)
নিজের বিচারবুদ্ধির উপর ভরসা না রেখে সর্বান্তকরণে প্রভুতে বিশ্বাস রাখো। পথের সন্ধান চাও, তিনি সে সন্ধান দেবেন। (প্রবাদমালা, ৩।৫-৬)
বিপদে ত্রাণ
যিনি পরমের গোপন আশ্রয়ে বাস করেন, তিনি নিত্য সর্বশক্তিমানের ছায়ায় থাকেন।
আমি প্রভুর কথা বলি–তিনি আমার পরম আশ্রয়, তিনিই আমার দুর্গ, আমার ঈশ্বর, আমি তাঁকেই বিশ্বাস করি।
তিনি ব্যাধের ফাঁদ থেকে আমাদের রক্ষা করেন। তিনি মহামারীর প্রকোপ থেকে আমাদের রক্ষা করেন।
তিনি তোমাকে তাঁর ডানায় আবৃত করবেন; সেখানে তুমি পাবে আশ্রয়; সেই ডানাই হবে তোমার ঢাল ও চর্মফলক।
রাতে বিভীষিকা তোমায় ভয় দেখাতে পারবে না, দিনের আলোয় ছোঁড়া তীরও তোমাকে ভয় দেখাতে পারবে না।
রাতের অন্ধকারে চুপিচুপি আসা মড়ক তোমাকে ভীত করবে না, দুপুরের আলো কাঁপিয়ে আসা মহামারীও তোমাকে ভীত করবে না।
তোমার পাশে হাজার লোকের পতন হবে, তোমার চতুর্দিকে দশ হাজার লোকের পতন হবে, কিন্তু বিপদ তোমাকে স্পর্শ করবে না। তোমার কোনো ক্ষতিই হবে না।
তুমি চোখ মেলে দেখবে কী পুরস্কার দুর্জনেরা পাচ্ছে।
হে প্রভু, তুমিই আমার আশ্রয়। কারণ তোমার আশ্রয়ই সেই পরমের আশ্রয়।
তুমি সব বিপদের উর্ধ্বে, তোমার ঠাঁই সব উপদ্রবের পরপারে।
ঈশ্বরের নির্দেশে স্বর্গদূতেরা তোমায় রক্ষা করবেন।
তাঁরা তোমায় দু-হাতে তুলে ধরবেন, তোমার পায়ে পাথরের আঘাত লাগবে না।
সিংহ ও বিষধর সাপকে তুমি অবলীলায় মাড়িয়ে যাবে; তরুণ সিংহ ও ভয়াল দানবকে তুমি পদদলিত করবে।
আমাকে সে ভালবাসে, সে আমার পরিচয় জানে, তাই আমি তাকে ত্রাণ করব, তাকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখব।
তার ডাকে আমি সাড়া দেবো, সঙ্কটে তার পাশে থাকব, তাকে উদ্ধার করব, তাকে গৌরবান্বিত করব।
দীর্ঘ আয়ু দিয়ে তাকে পরিতৃপ্ত করব। তাকে মুক্তির পথ দেখাবো। (গীতসংহিতা ৯১)
আমি পর্বতমালার দিকে চেয়ে থাকি, কারণ সেখান থেকেই আমার ত্রাণ আসবে।
স্বর্গমর্ত্যসৃষ্টিকারী আমার প্রভুর ত্রাণ আসবে।
তিনি অনিদ্র, তিনি তোমার পদযুগল কখনই বিচলিত হতে দেবেন না।
দেখো, ইসরায়েলের রক্ষাকর্তা কখনও তন্দ্রাবিষ্ট হন না, নিদ্রা যান না।
প্রভুই তোমার রক্ষক, প্রভুই তোমার ডান হাতের আচ্ছাদন।
দিনে সূর্য তোমায় আঘাত করবে না, রাতে চন্দ্র তোমায় আঘাত করবে না।
প্রভু তোমাকে রক্ষা করবেন, প্রভু তোমার আত্মাকে রক্ষা করবেন।
এখন থেকে চিরকাল তোমার যাতায়াতের পথে প্রভু তোমায় রক্ষা করবেন। (গীতসংহিতা ১২১)
pamela
ফেব্রুয়ারি 26, 2012 at 11:51 পুর্বাহ্ন
সুন্দর লেখা, পড়া উচিত সবার
অর্ণব দত্ত
ফেব্রুয়ারি 26, 2012 at 2:30 অপরাহ্ন
ধন্যবাদ।
অর্ণব দত্ত
ফেব্রুয়ারি 26, 2012 at 2:30 অপরাহ্ন
ধন্যবাদ।
pamela
ফেব্রুয়ারি 26, 2012 at 11:53 পুর্বাহ্ন
very enjoyable