RSS

Monthly Archives: মার্চ 2011

চৈতন্যভাগবত ও চৈতন্যচরিতামৃত

একটি জীবন জীবনী হয়ে ওঠে জীবনের পরিপূর্ণতায়, অসাধারণ জীবনমাহাত্ম্যে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রথম জীবিত বাঙালি যাঁর জীবৎকালেই বৈষ্ণব ভক্তেরা তাঁর অলৌকিক ও দেবোপম জীবন অবলম্বন করে সংস্কৃত ও বাংলা ভাষায় জীবনচরিত রচনায় প্রয়াসী হন। দাক্ষিণাত্য ভ্রমণ শেষে পুরীতে প্রত্যাগত শ্রীচৈতন্যকে পণ্ডিত বাসুদেব সার্বভৌম ঈশ্বরভাবে বন্দনা করেন, রায় রামানন্দ তাঁকে দেবতাজ্ঞানে পূজা করেন। জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবীণ অদ্বৈতাচার্য বৈষ্ণব ভক্তবৃন্দসহ হরিনামের পরিবর্তে চৈতন্যনাম সংকীর্তন করেন। স্বরূপ দামোদর তাঁকে বৃন্দাবনের রাধাকৃষ্ণের দ্বৈতভাবের একাত্মরূপ বলে প্রতিপন্ন করেন। চরিতলেখকগণ চৈতন্যের চারিত্রিক মাহাত্ম্যে বিমুগ্ধ হয়ে তাঁকে দেবতা জ্ঞান করে ভক্তিপ্লুত চিত্তে তাঁর জীবনী লিখতে প্রবৃত্ত হন। তাই এই গ্রন্থনিচয়কে জীবনচরিত না বলে চরিতকাব্য বলাই সঙ্গত।

Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ

চৈতন্য মহাপ্রভু ও মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য

বাংলা সাহিত্যে চৈতন্য মহাপ্রভুর অবদান কী? সহজ উত্তর – কিছুই না। চৈতন্য মহাপ্রভু বাংলা ভাষায় এক পংক্তিও রচনা করেননি। কেবল সংস্কৃতে দু-একটি স্তব-স্তোত্র রচনা করেছিলেন। কিন্তু তবুও মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান সোনার মূল্যে তুলিত হওয়ার যোগ্য। তাঁর যুগান্তকারী আবির্ভাবের ফলে বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতিতে যে নবজাগরণ দেখা দিয়েছিল, তা সুনিশ্চিতভাবেই বাংলা সাহিত্যের গতিপথকেও প্রভাবিত করে।

Read the rest of this entry »

 
9 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন মার্চ 8, 2011 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ও আধুনিক বাংলা কবিতা

রবীন্দ্রোত্তর আধুনিক কাব্যধারার অন্যতম পথিকৃত সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-১৯৬০) যেন এক নিরাশাকরোজ্জ্বল চেতনা। ব্যক্তিগত অনুভূতি তাঁর কবিতায় বিশ্ববেদনায় স্তম্ভিত হয়ে গেছে। যদিও তিনি ‘জনতার জঘন্য মিতালি’তে চিরকাল জুগুপ্সা বোধ করেছেন, তবু তিনি জীবনানন্দের মতো আত্মনিমগ্ন নির্জনতার কবি ছিলেন না, কারণ তিনি জানতেন, সভ্যতার বাইরে ব্যক্তিসত্ত্বার কোনো অস্তিত্ব বা মুক্তি নেই। তাঁর কাব্যসম্ভার যেন এক হতাশ বন্ধ্য নায়কের হাহাকার। সভ্যতার মর্মস্থলেই সেই হাহাকারের উৎস। গ্যেটের মানবতাবাদ ও মঙ্গলধর্মে বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যেমন বোদলেয়রের নারকীয় আবির্ভাব, তেমনি রবীন্দ্রনাথের নন্দনতত্ত্ব ও শুভবাদের বিরুদ্ধে সুধীন্দ্রনাথের নেতিবাদ ও শূন্যবাদী ঘোষণা:

জন্মাবধি যুদ্ধে যুদ্ধে, বিপ্লবে বিপ্লবে

বিনষ্টির চক্রবৃদ্ধি দেখে, মনুষ্যধর্মের স্তবে

নিরুত্তর, অভিব্যক্তিবাদে অবিশ্বাসী…

Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ

তুলসী লাহিড়ী

প্রখ্যাত নট, নাট্যকার, পরিচালক ও গীতিকার তুলসী লাহিড়ী (১৮৯৭ – ১৯৫৯) বাংলা নাটক ও অভিনয়ের জগতে একটি বিশিষ্ট ও স্মরণীয় নাম। জন্ম রংপুরের নলডাঙার জমিদার পরিবারে। তাঁর নিজস্ব শিক্ষাদীক্ষা, পারিবারিক সংস্কৃতি, তাঁর আইনজ্ঞান, রংপুরে সেই সময়কার নাট্যসংস্কৃতি, জমিদারের ছেলে হয়েও কৃষিজীবন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও পঞ্চাশের মন্বন্তরের রূঢ় অভিঘাত এবং সর্বোপরি মূল্যবোধে দৃঢ়বিশ্বাস তাঁর শিল্পী মানসকে প্রভাবিত করেছিল। সংগীতের মাধ্যমে তাঁর নাট্যজগতে প্রবেশ। যেখানেই তিনি বিশেষ কোনো আদর্শের কথা বলেছেন (যেমন ‘ছেঁড়া তার’, ‘বাংলার মাটি’) সেখানেই রবীন্দ্রনাথের গান-কবিতার উদ্ধৃতি যেন তাঁর নাটকের আবশ্যিক অঙ্গ হয়ে গেছে।

Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ