RSS

Monthly Archives: ফেব্রুয়ারি 2011

প্রেম প্রসঙ্গে

পার্সি বিশ শেলি
ভাবানুবাদ: অর্ণব দত্ত
~
রচনাপ্রসঙ্গে:
শেষ জীবনে লেখা অনেক কবিতা ও কবিতাংশের মতো এই প্রবন্ধটিও শেলি ইতালিতে বসে লেখেন। মাত্র একটি খসড়া পাণ্ডুলিপি পাওয়া গেছে এই রচনাটির। ১৮২৮ সালে কবিপত্নী মেরি শেলি ”কিপসেক ফর ১৮২৯” নামক অ্যানালে এটি প্রথম প্রকাশ করেন। অনতিবিলম্বেই ইংল্যান্ড ও নিউ ইয়র্কে এটি পুনর্মুদ্রিত হয় এবং ফ্রান্সের পত্রপত্রিকাগুলিতে এর অনুবাদ প্রকাশিত হয়।

Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ ,

বাংলা বিশ্বকোষ: একটি ইতিহাসযাত্রা

উনিশ শতকের একেবারে গোড়ার দিকে হুগলির শ্রীরামপুর মিশন ও কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে আধুনিক বাংলা গদ্যের জন্ম। প্রথম যুগের ইংরেজি গদ্যসাহিত্যের মতো বাংলা গদ্যসাহিত্যেরও সূচনা হয়েছিল জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে এবং এই চর্চার একটি প্রধান মাধ্যম ছিল অনুবাদ। দুটি পৃথক ধারায় চলত এই অনুবাদ। একটি ধারায় ভারতীয় ও ইউরোপীয় সাহিত্যের বিখ্যাত গল্প-আখ্যানগুলির অনুবাদ করা হত। যেমন, উইলিয়াম কেরির ‘ইতিহাসমালা’ বা বাইবেল অনুবাদ। পরবর্তীকালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও এই ধারায় অনেকগুলি ধ্রুপদি গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ করেন। অনুবাদের দ্বিতীয় ধারাটি ছিল, জ্ঞানবিজ্ঞান-সংক্রান্ত প্রবন্ধাবলির বঙ্গানুবাদ। ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত বই বা সংবাদপত্র থেকে পাশ্চাত্য জ্ঞানবিজ্ঞানমূলক নানা রচনা বাংলায় অনূদিত হতে শুরু করে উনিশ শতকের একেবারের সূচনালগ্ন থেকেই। এই সব নিবন্ধ প্রকাশিত হত পত্রপত্রিকায়। শ্রীরামপুর মিশন থেকে প্রকাশিত জন ক্লার্ক সম্পাদিত প্রথম বাংলা সাময়িকপত্র ‘দিগদর্শন’ ছাত্রদের উপযোগী ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে প্রবন্ধ প্রকাশ করত। এই সব প্রবন্ধ লিখতেন একাধিক জ্ঞাতনামা ও অজ্ঞাতনামা বাঙালি সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত।

Read the rest of this entry »

 
2 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন ফেব্রুয়ারি 7, 2011 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

বিশিষ্ট অতিথি

রবার্ট লুই স্টিভেনসন

ভাষান্তর: অর্ণব দত্ত

অনেক কাল আগে এক প্রতিবেশী গ্রহ থেকে এক পর্যটক পৃথিবীতে এসেছিলেন। যেখানে তিনি অবতরণ করলেন, সেখানে এক দার্শনিকের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হল। ঠিক হল, সেই দার্শনিক তাঁকে সব কিছু দেখাবেন।

প্রথমে তাঁরা এলেন এক বনে। অতিথি বনের গাছগুলির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “এরা কারা?”

Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ

স্বার্থপর দৈত্য

রচনা: অস্কার ওয়াইল্ড
ভাষান্তর: অর্ণব দত্ত

রোজ বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে ছেলের দল দৈত্যের বাগানে ঢুকে খেলা করে।

বেশ বড়োসড়ো সুন্দর বাগান। নরম সবুজ ঘাসে ভরা। ঘাসের মধ্যে এখানে ওখানে ফুটে রয়েছে তারার মতো সুন্দর সব ফুল। আর রয়েছে বারোটি পিচ গাছ। বসন্তকালে সেই গাছগুলিতে গোলাপি আর মুক্তো-রঙা ফুল দেখা দেয়, শরতে ধরে ফল। পাখিরা বসে সেই সব গাছের ডালে। গান গায়। তাদের গান এতই সুন্দর যে ছেলের দল খেলা থামিয়ে গান শোনে একমনে। নিজেদের মধ্যে বলাবলি করে, ‘আহা! আমরা এখানে কতই না সুখী!’ Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ

বঙ্গীয় নবজাগরণ প্রসঙ্গে

অ্যান্ড্রুজ ও রবীন্দ্রনাথ

(অ্যান এসে অন দ্য বেঙ্গল রেনেসাঁ)
চার্লস ফ্রিয়র অ্যান্ড্রুজ
অনুবাদ: অর্ণব দত্ত

এক

শতবর্ষ পূর্বের বঙ্গীয় নবজাগরণের ধারাটি ষোড়শ শতকের পাশ্চাত্য ইউরোপীয় রেনেসাঁ-চেতনার সঙ্গে আশ্চর্য সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই মানুষের ইতিহাসে তার ফলস্রুতিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে একই প্রকারের। কারণ, সেদিন যেমন ইউরোপ নতুন জীবনে উদ্বুদ্ধ হয়ে জেগে উঠেছিল, ঠিক তেমনই জেগে উঠছে আজকের এশিয়া।

অন্ধকার যুগের বৌদ্ধিক অসাড়তা কাটিয়ে আরব সভ্যতা ও ইসলামীয় ধর্মবিশ্বাস পাশ্চাত্য জগতকে চমকিত করেছিল। ইউরোপের ক্ষেত্রে সেই ঘটনা ছিল আঘাতস্বরূপ। আর তারপরেই গ্রিক ও লাতিন ধ্রুপদী সাহিত্যের পুনরুদ্ধার তথা খ্রিস্টীয় ধর্মশাস্ত্রের নবতর ব্যাখ্যা একত্রে সেখানে নিয়ে আসে এক পরিপূর্ণ সংস্কার ও নবজাগরণ।
বঙ্গদেশে পাশ্চাত্য সভ্যতাই চমকিত করেছিল প্রাচ্যকে – তাকে উজ্জীবিত করেছিল এক নতুন জীবনে; চালিত করেছিল এক অত্যাশ্চর্য পুনর্জাগরণের পথে। এর পরই পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে ধ্রুপদী সংস্কৃত সাহিত্য; প্রাচীন ধর্মগুলির মধ্য থেকেই সাধিত হয় সেগুলির সংস্কার। এই দুই চালিকাশক্তি একযোগে বঙ্গীয় নবজাগরণকে এশিয়ার এক জীবন্ত শক্তিতে পরিণত করে। বঙ্গদেশের অভ্যন্তরে সাহিত্য ও শিল্প-আন্দোলন প্রতিভাত হয় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসাবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হন তার রাজমুকুট।
 
3 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন ফেব্রুয়ারি 6, 2011 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ