দ্বিতীয় দৃশ্য
লিওন্যাটো ও অ্যান্টোনিওর প্রবেশ
লিওন্যাটো। দাদা, আমার ভাইপো, মানে তোমার ছেলে কই? সে কি গানবাজনার ব্যবস্থা করেছে?
অ্যান্টোনিও। সেকাজেই গেছে। কিন্তু ভাই, এদিকে একটা অদ্ভুত খবর পেলাম।
লিওন্যাটো। ভাল খবর?
দ্বিতীয় দৃশ্য
লিওন্যাটো ও অ্যান্টোনিওর প্রবেশ
লিওন্যাটো। দাদা, আমার ভাইপো, মানে তোমার ছেলে কই? সে কি গানবাজনার ব্যবস্থা করেছে?
অ্যান্টোনিও। সেকাজেই গেছে। কিন্তু ভাই, এদিকে একটা অদ্ভুত খবর পেলাম।
লিওন্যাটো। ভাল খবর?
মাথা নেই তার মাথাব্যথা
(মাচ অ্যাডু অ্যাবাউট নাথিং)
উইলিয়াম শেকসপিয়র
অনুবাদ: অর্ণব দত্ত
পাত্রপাত্রী
ডন পেড্রো – অ্যারাগনের রাজকুমার
ডন জন – তাঁর বেজন্মা ভাই
ক্লডিও – ফ্লোরেন্সের জনৈক তরুণ লর্ড
লিওন্যাটো – মেসিনার গভর্নর
অ্যান্টোনিও – লিওন্যাটোর বৃদ্ধ দাদা
বালথাজার – ডন পেড্রোর পরিচারক
বোরাশিও ও কনরাড – ডন পেড্রোর দুই অনুগামী
ফ্রেয়ার ফ্রান্সিস – পাদ্রি
ডগবেরি – জনৈক কনস্টেবল
ভার্জেস – জনৈক পুরপ্রধান
জনৈক সেক্সটন (গির্জার ঘণ্টাবাদক)
জনৈক বালক
হিরো – লিওন্যাটোর মেয়ে
বিয়াত্রিস – লিওন্যাটোর ভাইঝি
মার্গারেট ও আরসুলা – হিরোর সহচরী
দূতগণ, প্রহরী, লর্ডগণ, পরিচারকগণ ও গাইয়ে-বাজিয়েরা ইত্যাদি।
দৃশ্য – মেসিনা
মাচ অ্যাডু অ্যাবাউট নাথিং
মূল রচনা: উইলিয়াম শেকসপিয়র
পুনর্কথন: মেরি ল্যাম্ব
অনুবাদ: অর্ণব দত্ত
মেসিনার রাজপ্রাসাদে বাস করত দুই মেয়ে – মেসিনার গভর্নর লিওনেটোর কন্যা হিরো ও ভাইঝি বিয়াত্রিস।
বিয়াত্রিস ছিল মিশুকে স্বভাবের। কিন্তু তার বোন হিরো ছিল গম্ভীর প্রকৃতির মেয়ে। বিয়াত্রিস সবসময় তার বুদ্ধিদীপ্ত কথাবার্তার মাধ্যমে মাতিয়ে রাখত বোনকে। যা কিছু ঘটত, অবধারিতভাবে তাকে হাসির খোরাক করে তুলত বিয়াত্রিস।
সেবার এক যুদ্ধের শেষে ঘরে ফেরার পথে সেনাবাহিনীর একদল উচ্চপদস্থ তরুণ যোদ্ধা মেসিনায় লিওনেটোর সঙ্গে দেখা করতে এলেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন অ্যারাগনের রাজকুমার ডন পেড্রো, তাঁর বন্ধু ফ্লোরেন্সের লর্ড ক্লডিও এবং পাদুয়ার লর্ড বেনেডিক। এই শেষোক্ত ব্যক্তিটি ছিলেন যেমন বুদ্ধিমান, তেমনই উচ্ছৃঙ্খল।
দ্য উইন্টার’স টেল
মূল রচনা: উইলিয়াম শেকসপিয়র
পুনর্কথন: মেরি ল্যাম্ব
অনুবাদ: অর্ণব দত্ত
সিসিলির রাজা লিওন্টেস তাঁর সুন্দরী সতীসাধ্বী রানি হারমায়োনিকে নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছিলেন। লিওন্টেস তাঁর এই মহতী রানিটিকে খুবই ভালবাসতেন। জীবনে তাঁর কিছুরই অভাব ছিল না। কেবল মাঝে মাঝে বাল্যবন্ধু তথা সহপাঠী বোহেমিয়ার রাজা পলিজেনাসকে আরেকবার দেখার এবং তাঁকে স্ত্রীর সামনে উপস্থিত করার ইচ্ছে জাগত লিওন্টেসের মনে। দু’জনে একসঙ্গে বড়ো হয়েছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর উভয়কেই নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে রাজকার্য হাতে তুলে নিতে হয়। তাই অনেকদিন তাঁদের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ ছিল না। তবে ঘন ঘন তাঁরা পরস্পরের মধ্যে উপঢৌকন, চিঠিপত্র ও রাজদূত আদানপ্রদান ঠিকই করতেন।