RSS

Monthly Archives: ফেব্রুয়ারি 2012

জেন অস্টিন: একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী

জেন অস্টিন

১৭৭৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারের অন্তঃপাতী স্টিভেনটনে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে প্রখ্যাত ইংরেজ মহিলা-ঔপন্যাসিক জেন অস্টিনের জন্ম। তাঁর বাবা জর্জ অস্টিন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট হলেও আর্থিক দিক থেকে ছিলেন দরিদ্র। তিনি ছিলেন রেক্টর। স্টিভেনটনে ধর্মশিক্ষা দিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। সেই সঙ্গে নিজের সন্তানদেরও শিক্ষাদান করতেন। জেন অস্টিন ছিলেন তাঁর সপ্তম সন্তান। জেনের শিক্ষা কিছুটা হয়েছিল তাঁর দাদাদের কাছে। তাঁর দুই দাদা ছিলেন ধর্মযাজক। অপর দুই দাদা ছিলেন নৌবাহিনীতে। পরে তাঁরা অ্যাডমিরাল পদে উন্নীত হন। আর এক দাদা এডওয়ার্ড ভাগ্যক্রমে ভূম্যধিকারী ভদ্রসমাজে প্রবেশের সুযোগ পান। শিশুদের শিক্ষিত করে তোলার জন্য অস্টিন পরিবারের আয়োজনের ত্রুটি ছিল না। গ্রামভ্রমণ, ধাঁধাখেলা, গ্রন্থপাঠ, গল্প ও পারিবারিক নাটক রচনার মাধ্যমে পরিবারের শিশুরা যে শিক্ষা পেত, তা প্রথাবহির্ভূত হলেও খুব উঁচুদরের ছিল। এর ফলেই শিশু জেনের মনে ঔপন্যাসিক হওয়ার ইচ্ছা জেগে ওঠে। অক্সফোর্ড, সাউদাম্পটন ও রিডিং-এর বোর্ডিং স্কুলে তিনি অল্প কয়েকদিন পড়াশোনা করেছিলেন। তবে এই পড়াশোনা তাঁর জীবনে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেনি।

জেনের কৈশোর কেটেছিল গ্রামীণ সমাজে। কখনও সখনও নিকটবর্তী শহরে গিয়ে বল নাচে অংশ নিতেন। এই সব সামাজিক ক্রিয়াকলাপ আর যে গ্রাম্য সমাজে জেন বাস করতেন, সেই সমাজকে খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করতেন জেন। এইভাবে কৈশোরেই তিনি শিখে ফেলেছিলেন উপন্যাস লেখার কৌশলটি। জেন ও তাঁর প্রিয় বোন ক্যাসান্ড্রা কেউই বিয়ে করেননি। ক্যাসান্ড্রার বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের আগেই তাঁর ভাবী স্বামী জলে ডুবে মারা যান। জেনের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল তাঁর দাদার এক বন্ধুর সঙ্গে। কিন্তু পরদিনই তিনি সম্বন্ধ ভেঙে দেন। প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস উপন্যাসে শার্লট লুকাস বিয়ে করতে চেয়েছিল সামাজিক মর্যাদা, নিরাপত্তা আর নিজস্ব একটা বাড়ির জন্য। জেন নিজে এই সবের জন্য মেয়েদের বিয়ে করাকে ঘৃণা করতেন।

Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ

গোপাল ভাঁড় :: ২

গোপাল-পঞ্চমী

১।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র পরদিন খুব ভোরে গোপালকে রাজসভায় তলব করেছেন। সমস্যা হল, ভোরে গোপালের ঘুম ভাঙে না। তাই তিনি স্ত্রীকে বলে রেখেছিলেন, যেন ভোর ভোর তাঁকে ডেকে দেওয়া হয়। কিন্তু পরদিন ভোরে দৈবাৎ গোপাল ঘুম গেল ভেঙে। স্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘ওগো, যাও না, বাইরে গিয়ে একবারটি দ্যাখো, সূর্য উঠেছে কিনা।’ গোপালের স্ত্রী তন্দ্রার আবেশে বললে, ‘বাইরে যে ভীষণ অন্ধকার! সূর্য দেখবো কি করে?’ গোপাল বললেন, ‘তাহলে আলোটা জ্বেলেই দ্যাখো না।’

২।

ঘোর বর্ষা। মেঠো পথ ধরে গোপাল চলেছেন জুতো হাতে নিয়ে। সেই পথেই মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র আসছিলেন পালকি চড়ে। গোপালকে দেখে মহারাজের একটু রসিকতা করার শখ হল। বললেন, ‘কি হে গোপাল, পরকাল হাতে করে চলেছো যে!’ গোপাল বললেন, ‘আমি তো তাও হাতে রেখেছি, মহারাজ! আপনি তো খেয়ে বসেছেন!’ কৃষ্ণচন্দ্র রেগে বললেন, ‘গোপাল, তুমি আমাকে জুতোখোর বললে?’ গোপাল বললে, ‘আজ্ঞে না মহারাজ। জুতোর কথা হচ্ছে না, হচ্ছে পরকালের। এই ঘোর বর্ষায় কর্দমাক্ত মেঠো পথ ধরে হাঁটার ক্ষমতা আমার মতো বৃদ্ধ লোকও হেঁটে চলেছে। আর আপনি, মহারাজ, জোয়ান পুরুষ, আপনি কিনা পালকি ছাড়া চলতে পারছেন না! ভাবুন তো, নিজের পরকাল কে খেয়েছে?’

Read the rest of this entry »

 
2 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন ফেব্রুয়ারি 19, 2012 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ :: পর্ব ৪

শিববিবাহ

শিব সপ্তর্ষিকে ডেকে তাঁদের দূত নিয়োগ করলেন। তাঁরা গিরিরাজ হিমালয়ের কাছে বিবাহ প্রস্তাব নিয়ে গেলেন। শুনে গিরিরাজের আনন্দের সীমা রইল না। শুভদিন স্থির করে বিবাহের কথা পাকা হয়ে গেল।

 

বিবাহের দিন গন্ধর্বেরা গান ধরলেন, অপ্সরাগণ নৃত্য শুরু করলেন। বরযাত্রী হবার জন্য দেবতারা উপস্থিত হলেন কৈলাসশিখরে। এদিকে গিরিরাজও প্রস্তুত। তাঁর প্রাসাদ তোরণ, পতাকা ইত্যাদি দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। শিব হিমালয়ের প্রাসাদে এসে পৌঁছাতেই মেনকা বেরিয়ে এলেন। বললেন, ‘কই, শিব কই? দেখি আমার জামাই কেমন; যাকে পেতে মেয়েটা আমার এমন কঠোর তপস্যা করলে। সে নিশ্চয় পরম সুন্দর।’

 

শিববিবাহ

প্রথমেই মেনকা দেখলেন গন্ধর্বরাজ বিশ্ববসুকে। বিশ্ববসু ছিলেন সুদর্শন পুরুষ। মেনকা ভাবলেন, ইনিই শিব। কিন্তু প্রশ্ন করে জানলেন, উনি সামান্য গায়কমাত্র, বিবাহসভায় শিবের চিত্তবিনোদনের জন্য এসেছেন। তাই শুনে মেনকা ভাবলেন, শিব নিশ্চয় আরও সুদর্শন। তখন তিনি সম্পদের দেবতা কুবেরকে দেখলেন, কুবের বিশ্ববসু অপেক্ষা সুদর্শন। কিন্তু নারদ মেনকাকে বললেন যে উনি শিব নন। তারপর একে একে মেনকা দেখলেন বরুণ, যম, ইন্দ্র, সূর্য, চন্দ্র, ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও বৃহস্পতিকে। প্রত্যেকেই পরম সুদর্শন পুরুষ। কিন্তু নারদ মেনকাকে বললেন, এঁরা কেউই শিব নন, শিবের অনুচরমাত্র। শুনে মেনকার আনন্দ আর ধরে না। এমন সুদর্শন দেবতারা যদি শিবের অনুচরমাত্র হন, তবে শিব নিজে কত না সুদর্শন। কিন্তু কোথায় শিব? শেষে এলেন শিব। নারদ মেনকাকে বললেন, ‘ইনিই শিব।’ জামাইয়ের অমন ভীষণ মূর্তি দেখে মেনকা তো মূর্ছা গেলেন।

Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ

সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ :: পর্ব ৩

পার্বতীর তপস্যা

এদিকে পার্বতী শিবের প্রেমে পড়লেন। দিনরাত অন্য চিন্তা নেই, শুধু শিব শিব আর শিব।

 

একদিন দেবর্ষি নারদ এসে পার্বতীকে বললেন, শিব কেবলমাত্র তপস্যাতেই সন্তুষ্ট হন। তপস্যা বিনা ব্রহ্মা বা অন্যান্য দেবতারাও শিবের দর্শন পান না।

 

নারদের পরামর্শ মতো পার্বতী তপস্যা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রথমে তিনি পিতামাতার অনুমতি নিলেন। তাঁর পিতা গিরিরাজ হিমালয় সাগ্রহে অনুমতি দিলেন। যদিও মা মেনকা মেয়েকে এমন কঠিন তপস্যা করতে দিতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু পরে তিনিও অনুমতি দিলেন।

 

তপস্বিনী পার্বতী

পার্বতী বহুমূল্য বস্ত্র ও অলংকারাদি পরিত্যাগ করে মৃগচর্ম পরিধান করলেন। তারপর হিমালয়ের গৌরীশিখর নামক চূড়ায় গিয়ে কঠিন তপস্যায় বসলেন। বর্ষাকালে মাটিতে বসে, শীতকালে জলে দাঁড়িয়ে তপস্যা করতে লাগলেন পার্বতী। বন্য জন্তুরা তাঁর ক্ষতি করা দূরে থাক, কাছে ঘেঁষতেও ভয় পেতে লাগল। সকল দেবতা ও ঋষিরা একত্রিত হয়ে এই অত্যাশ্চর্য তপস্যা চাক্ষুষ করতে লাগলেন। দেবতাগণ ও ঋষিগণ শিবের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে বললেন, ‘হে প্রভু, আপনি কি দেখতে পান না পার্বতী কি ভীষণ তপস্যায় বসেছেন? এমন কঠোর তপস্যা পূর্বে কেউ করেনি। ভবিষ্যতেও কেউ করতে পারবে না। অনুগ্রহ করে তাঁর মনস্কাম পূর্ণ করুন।’

Read the rest of this entry »

 
2 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন ফেব্রুয়ারি 15, 2012 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়: গ্রন্থতালিকা

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৮৯৮-১৯৭১) রচিত গ্রন্থাবলির তালিকা এখানে দেওয়া হল। লেখকের জীবদ্দশায় প্রকাশিত মৌলিক ও সংকলন গ্রন্থের এবং মরণোত্তর প্রকাশিত মৌলিক গ্রন্থের নামই এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত।

Read the rest of this entry »

 
১ টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন ফেব্রুয়ারি 13, 2012 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ :: পর্ব ২

তারকাসুরের বরলাভ

তার নামে এক অসুর ছিল। তার পুত্রের নাম ছিল তারক।

তারক দেবতাদের পরাজিত করতে চাইল। তাই সে মধুবন নামে এক স্থানে গিয়ে ভীষণ তপস্যা শুরু করে দিল। সূর্যের দিকে তাকিয়ে উর্ধ্ববাহু হয়ে এক পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে একশো বছর তপস্যা করল তারক। এই একশো বছর সে শুধু জল ছাড়া আর কিছুই খেল না। তারপর একশো বছর জল ত্যাগ করে শুধুমাত্র বায়ু ভক্ষণ করে তপস্যা করল। একশো বছর তপস্যা করল জলের তলায়, একশো বছর মাটিতে, আর একশো বছর আগুনের মধ্যে। তারপর একশো বছর সে হাতে ভর দিয়ে উলটো হয়ে তপস্যা করল। পরের একশো বছর তপস্যা করল গাছের ডালে উলটো হয়ে ঝুলে।

এই কঠোর তপস্যায় ব্রহ্মা খুশি হলেন। তিনি তারকাসুরের সামনে আবির্ভূত হয়ে বললেন, ‘বৎস, তোমার তপস্যায় আমি সন্তুষ্ট হয়েছি। তুমি কী বর চাও, বলো।’

Read the rest of this entry »

 
2 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন ফেব্রুয়ারি 11, 2012 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

সংক্ষিপ্ত শিবপুরাণ :: পর্ব ১

শিব

নৈমিষারণ্যে যে ঋষিরা বাস করতেন, তাঁরা একদিন রোমহর্ষণের কাছে এসে বললেন, ‘হে রোমহর্ষণ, আপনি ঈশ্বরের আশীর্বাদধন্য। আপনি আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছেন। কিন্তু আমাদের জ্ঞানতৃষ্ণা এখনও পরিতৃপ্ত হয়নি। আপনি পরম সৌভাগ্যবান যে মহর্ষি বেদব্যাসের নিকট অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের কিছুই আপনার অগোচর নয়। আমাদের শিবের কথা বলুন। আমরা শিবের সম্পর্কে বিশেষ জানি না।

রোমহর্ষণ উত্তরে বললেন, ‘আপনাদের জ্ঞানতৃষ্ণা নিবৃত্তিতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। বহু বছর আগে দেবর্ষি নারদ তাঁর পিতা ব্রহ্মার নিকট শিবের কথা জানতে চেয়েছিলেন। সেই কথাই আপনাদের বলছি, শুনুন।’

Read the rest of this entry »

 
2 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন ফেব্রুয়ারি 11, 2012 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

প্রবাল দ্বীপ :: রবার্ট মাইকেল ব্যালেন্টাইন : অর্ণব দত্ত অনূদিত :: ৩

এই উপন্যাসটির অনুবাদ-স্বত্ব অনুবাদক কর্তৃক সংরক্ষিত। অনুবাদকের অনুমতি ও নাম-উল্লেখ ছাড়া তা কোনো উপায়ে অন্যত্র প্রকাশ নিষিদ্ধ।

প্রবাল দ্বীপ : প্রশান্ত মহাসাগরের গল্প
রবার্ট মাইকেল ব্যালেন্টাইন
অনুবাদ।। অর্ণব দত্ত

তৃতীয় অধ্যায়।

প্রবাল দ্বীপ—তীরে পৌঁছোনোর পর আমাদের অনুসন্ধান ও তার ফল—আমরা সিদ্ধান্ত করলুম যে দ্বীপটি জনহীন

অজ্ঞান অবস্থা থেকে জ্ঞান ফেরার সময়টায় যে অদ্ভুত একটা রোমাঞ্চকর অনুভূতি হয়েছিল, সেটা লিখে বর্ণনা করা যাবে না। কেমন একটা স্বপ্নালু, হতচকিত চৈতন্যের ভাব; আধো-ঘুমন্ত আধো-জাগরিত অবস্থা; সেই সঙ্গে কেমন একটা উদ্বেগের ভাবও ছিল, যদিও সেটা নিতান্ত খারাপ বোধ হচ্ছিল না। আস্তে আস্তে আমার জ্ঞান ফিরে এল। পিটারকিনের গলা শুনলুম। সে শুধোচ্ছিল, এখন একটু ভাল লাগছে কিনা। আমার মনে হচ্ছিল, আমি যেন বেশি ঘুমিয়ে ফেলেছি, তাই শাস্তি দিয়ে এখুনি আমাকে তুলে দেওয়া হবে মাস্তুলের চুড়োয়। তড়াক করে উঠতে যাব, কিন্তু তার আগেই চিন্তাটা যেন মাথা থেকে দূর হয়ে গেল। মনে হল, আমি যেন অসুস্থ। সেই মুহুর্তে একটা মিষ্টি হাওয়া আমার গালে এসে ঠেকল। মনে হল যেন আমি আমার বাড়িতে। বাবার কটেজের বাগানে সুন্দর সুন্দর ফুল আর মায়ের নিজের হাতে তৈরি করা সুগন্ধী হানি-সাকল লতার মাঝে শুয়ে আছি। কিন্তু ঢেউয়ের গর্জন সেই সব সুন্দর চিন্তাগুলিকে খেদিয়ে দিল। সমুদ্রে ফিরে গেলুম। সেই ডলফিন আর উড়ুক্কু মাছ দেখা, ঝোড়ো কেপ হর্ন পেরিয়ে আসা জাহাজ। আস্তে আস্তে ঢেউয়ের গর্জন জোরালো আর স্পষ্টতর হয়ে উঠল। মনে হল, নিজের দেশ থেকে বহু বহু দূরে কোথায় আমার জাহাজ ভেঙে পড়েছে। ধীরে ধীরে চোখ খুললুম। দেখলুম আমার সঙ্গী জ্যাক-দাদা ভারি উদ্বিগ্ন হয়ে আমার মুখের দিকে চেয়ে রয়েছে।

জ্যাক-দাদা আস্তে আস্তে জিজ্ঞাসা করল, “কথা বল্‌, ভাই রালফ, এখন একটু ভালো লাগছে?”

আমি হেসে চোখে মেলে চাইলুম। বললুম, “ভালো। কেন, জ্যাক-দাদা? আমি তো ভালোই আছি।”

Read the rest of this entry »

 

গোপাল ভাঁড় :: ১

কৃষ্ণনগরে ছাউনি ফেলেছেন বাংলার নবাব।

একদিন হঠাৎ একটি ষাঁড় ঢুকে পড়ল নবাবের শিবিরে। নধর ষাঁড়টিকে দেখেই নবাবের নোলা উঠল সপসপিয়ে। তৎক্ষণাৎ তাঁর আদেশে সেটিকে বন্দী করা হল। নবাবের হুকুম হল, ‘কাল এটিকে জবাই করে ভালো করে রান্না করে আমার পাতে দেবে।’

কথাটা গেল নদিয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের কানে। শুনে তো কৃষ্ণচন্দ্রের মাথায় হাত। ও ষাঁড়টি যে তাঁর বৃষোৎসর্গের ষাঁড়। ওটি মুসলমান নবাবের পেটে গেলে যে তাঁর চোদ্দোপুরুষ নরকস্থ হবেন!

গোপাল ভাঁড় বললেন, ‘মহারাজ, চিন্তা করবেন না। আমি দেখছি, কোনো ভাবে ও ষাঁড়টিকে নবাবের খপ্পর থেকে উদ্ধার করা যায় কিনা।’

সেইদিন সন্ধ্যাবেলাই গোপাল গেলেন নবাবের সাক্ষাৎপ্রার্থী হয়ে। গোপাল মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবিদুষক শুনে ভারি খুশি হয়ে নবাব তাঁকে খুব খাতির করলেন।

Read the rest of this entry »

 
5 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন ফেব্রুয়ারি 9, 2012 in পুরনো লেখা