RSS

Monthly Archives: জানুয়ারি 2012

নেতাজি সুভাষ ও তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজ

——————————————————–

বঙ্গভারতী নেতাজি জয়ন্তী স্মারক রচনা, ২০১২

———————————————————

নেতাজি সুভাষ ও তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজ

অর্ণব দত্ত

———————————————————-

এই লেখাটি পুনঃমুদ্রিত হয়েছে আমাদের নতুন ওয়েবসাইটে:

http://www.bangabharatiemag.com/2013/01/blog-post_7479.html

আমাদের নতুন ওয়েব-ঠিকানা:

http://www.bangabharatiemag.com/

———————————————————-

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু

বিশ শতকের গোড়ার দিকে কোনো কোনো চরমপন্থী বিপ্লবী দেশের বাইরে গিয়ে সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে ভারতকে ব্রিটিশদের হাত থেকে উদ্ধার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁদেরই একজন ছিলেন রাসবিহারী বসু। ১৯১৫ সালে রাসবিহারী চলে যান জাপানে। সেখান থেকে প্রবাসী ভারতীয়দের সংগঠিত করে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে একটি সশস্ত্র সামরিক বাহিনী স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সেই সময় অসংখ্য ভারতীয় জওয়ান চাকরি করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় জাপানের সঙ্গে ব্রিটিশদের যুদ্ধ বাধলে এদের একটি বিরাট অংশ জাপানিদের হাতে বন্দী হন।

১৯৪২ সালের মার্চ মাসে জাপানের রাজধানী টোকিয়োতে ভারতীয়দের একটি সম্মেলনে গঠিত হয় ‘ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেনডেন্স লিগ’ বা ‘ভারতীয় স্বাধীনতা লিগ’। ১৯৪২ সালে ব্যাংককে আরও একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনেই রাসবিহারী বসুকে লিগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয় এবং আজাদ হিন্দ বাহিনী (ইংরেজিতে ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল আর্মি বা আইএনএ) নামে একটি সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জাপানিদের হাতে যুদ্ধবন্দী ৪০,০০০ ভারতীয় সেনা নিয়ে গড়ে ওঠে আজাদ হিন্দ ফৌজ। ক্যাপ্টেন মোহন সিং ফৌজের অধিনায়ক নিযুক্ত হন। উক্ত সম্মেলনেই সুভাষচন্দ্র বসুকে আমন্ত্রণ জানানো হয় আজাদ হিন্দ ফৌজের ভার স্বহস্তে গ্রহণ করার জন্য। সুভাষচন্দ্র টোকিয়োতে এসে পৌঁছান ১৯৪৩ সালের জুন মাসে। পরের মাসে সিঙ্গাপুরে এসে ফৌজে যোগ দেন। রাসবিহারী বসু সুভাষচন্দ্রের হাতে আজাদ হিন্দ ফৌজের ভার তুলে দেন। বাহিনী সুভাষচন্দ্রকে অভিবাদন জানায় ‘নেতাজি’ নামে। সিঙ্গাপুরেই নেতাজি স্থাপন করেন আরজি-হুকুমত-এ-আজাদ হিন্দ বা অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকারের। কংগ্রেসের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা গৃহীত হয় ভারতের জাতীয় পতাকা হিসেবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে’ গানটি নির্বাচিত হয় ভারতের জাতীয় সংগীত হিসেবে। নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজের দুটি প্রধান কার্যালয় স্থাপন করেন – একটি রেঙ্গুনে, অপরটি সিঙ্গাপুরে। জাপান সেনাবাহিনী ব্রিটিশদের যুদ্ধে হারিয়ে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিকার ব্রিটিশদের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছিল। ১৯৪৩ সালের নভেম্বরে এই দ্বীপাঞ্চল জাপানি কর্তৃপক্ষ তুলে দেয় আজাদ হিন্দ সরকারের নামে। নেতাজি স্বয়ং আসেন আন্দামনে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নামকরণ করেন ‘শহীদ ও স্বরাজ দ্বীপপুঞ্জ’। এরপরই শুরু হয় আজাদ হিন্দ ফৌজের যুদ্ধাভিযান।

Read the rest of this entry »

 
3 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন জানুয়ারি 23, 2012 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

অ্যাকেলাস

অ্যাকেলাস (Achelous)

অ্যাকেলাস ও হেরাক্লিসের লড়াই, রেনি গাইডো অঙ্কিত চিত্র।

গ্রিক পুরাণের জনৈক নদী-দেবতা। তিনি গ্রিসের প্রধান নদী অ্যাকেলাসের নদী-দেবতা ও সেই সূত্রে গ্রিক পুরাণের সব নদী-দেবতার প্রধান। হেরাক্লিসের সঙ্গে তাঁর লড়াই হয়েছিল। এই লড়াইটি একটি কিংবদন্তি।

ধ্রুপদি পৌরাণিক সূত্র: অ্যাপোলোডোরাসের লাইব্রেরি (১।৮।১, ২।৭।৫), ডায়োডোরাস সিকুলাসের লাইব্রেরি অফ হিস্ট্রি (৪।৩৪।৩, ৪।৩৫।৩), হাইজিনাসের ফ্যাবুলি (৩১), ওভিডের মেটামরফোসিস (৯।১–১০০), ফিলোস্ট্র্যাটার ইম্যাজিনস (৪।১৬) এবং সোফোক্লিসের ট্র্যাকিনি (৯–২১)।

পৌরাণিক উপাখ্যান: হেরাক্লিসের দ্বাদশ মহাকৃত্যের (টুয়েলভ লেবারস) গল্পে অ্যাকেলাসের উল্লেখ আছে। একাদশ কৃত্যটি সম্পন্ন করতে হেরাক্লিস হেডিসে (গ্রিক পুরাণে কথিত নরক বা পাতাল) নেমে যান। সেখানে মেলাজারের প্রেতের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। মেলাজার হেরাক্লিসকে দিয়ে শপথ করিয়ে নেন যে, হেডিস থেকে ফিরে তিনি মেলাজারের বোন ডেয়ানিরাকে খুঁজে বের করবেন এবং তাঁকে বিবাহ করবেন। ডেয়ানিরাকে বিবাহ করার জন্য হেরাক্লিসকে তাঁর অপর পাণিপ্রার্থী অ্যাকেলাসের সঙ্গে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়। অ্যাকেলাস ইচ্ছামতন রূপ পরিবর্তন করতে পারতেন। তাই লড়াইটি কঠিন হয়ে ওঠে। অ্যাকেলাস প্রথমে একটি সাপ ও পরে একটি ষাঁড়ের রূপ ধরে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। হেরাক্লিস ষাঁড়-রূপী অ্যাকেলাসের মাথার একটি শিং ছিঁড়ে নিয়ে তাঁকে যুদ্ধে পরাস্ত করেন।

বিবিধ তথ্য:অ্যাকেলাসের শিংটি কর্নুকোপিয়া বা সম্পদের শিংয়ের (সম্পদের প্রতীক স্বরূপ শস্যদানা ও ফুলে ভরা শিং) সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। অ্যাকেলাস ও হেরাক্লিসের লড়াইয়ের ছবি অনেক প্রাচীন শিল্পসামগ্রীর উপর দেখা যায়। এই গল্পের একাধিক দৃশ্য-সম্বলিত একটি চিত্রের উল্লেখ রয়েছে ফিলোস্ট্র্যাটার ইম্যাজিনস বইতে।

 

ট্যাগ সমুহঃ

প্রবাল দ্বীপ :: রবার্ট মাইকেল ব্যালেন্টাইন : অর্ণব দত্ত অনূদিত :: ২

এই উপন্যাসটির অনুবাদ-স্বত্ব অনুবাদক কর্তৃক সংরক্ষিত। অনুবাদকের অনুমতি ও নাম-উল্লেখ ছাড়া তা কোনো উপায়ে অন্যত্র প্রকাশ নিষিদ্ধ।

প্রবাল দ্বীপ : প্রশান্ত মহাসাগরের গল্প
রবার্ট মাইকেল ব্যালেন্টাইন
অনুবাদ।। অর্ণব দত্ত

দ্বিতীয় অধ্যায়।

যাত্রারম্ভ—সমুদ্র—আমার সঙ্গীরা—সমুদ্রে দেখা কয়েকটি আশ্চর্য দৃশ্যের বর্ণনা—ভয়াল ঝড় ও ভয়ংকর জাহাজডুবি

এক সুন্দর রৌদ্রজ্জ্বল উষ্ণ দিনে আমাদের জাহাজ মৃদুমন্দ বাতাসে পাল তুলে দক্ষিণ সমুদ্রের পথে পাড়ি জমাল। নোঙর তুলতে তুলতে মাল্লার দল মহানন্দে একসঙ্গে গান জুড়ে দিল। সে গান শুনে আমার যে কি ভাল লাগল। ক্যাপ্টেন চিৎকার করলেন। লোকেরা তাঁর হুকুম তামিল করতে ছুটল। বিশাল জাহাজটা বাতাসে ভর করে ভেসে চলতে লাগল। দেখতে দেখতে তটরেখাটা আমার দৃষ্টিপথ থেকে মুছে গেল। সেদিকে তাকিয়ে পুরো ব্যাপারটাকে একটা সুন্দর স্বপ্ন মনে হতে লাগল।

ডেকের উপর নোঙর তুলে শক্ত করে দড়ি দিয়ে সেটা বেঁধে ফেলা হল। আমার অল্পদিনের নাবিক-জীবনে যে কটা জিনিস দেখেছিলাম, তার মধ্যে এই ঘটনাটাই আমার প্রথম আলাদা রকমের কিছু মনে হল। যেন আমরা চিরকালের মতো মাটির পৃথিবী বিদায় নিলাম। যেন ওই নোঙরগুলোর আর কোনো প্রয়োজনই রইল না।

নোঙরগুলোকে সব গুছিয়ে রেখে সেগুলোর গায়ে হাত বুলোতে বুলোতে এক চওড়া কাঁধওয়ালা মাল্লা বলল, “নাও সোনামনি, এই বেলা ঘুমিয়ে পড়ো। এখন বেশ কিছুদিন আর তোমাকে কাদা ঘাঁটতে হবে না!”

ঠিক তা-ই হয়েছিল। নোঙরটাকে তারপর বেশ কিছুদিন “কাদা ঘাঁটতে” হয়নি। শেষে যখন ঘাঁটল, একেবারে শেষবারের মতো ঘাঁটল।

Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ

প্রবাল দ্বীপ :: রবার্ট মাইকেল ব্যালেন্টাইন : অর্ণব দত্ত অনূদিত :: ১

এই উপন্যাসটির অনুবাদ-স্বত্ব অনুবাদক কর্তৃক সংরক্ষিত। অনুবাদকের অনুমতি ও নাম-উল্লেখ ছাড়া তা কোনো উপায়ে অন্যত্র প্রকাশ নিষিদ্ধ।

প্রবাল দ্বীপ : প্রশান্ত মহাসাগরের গল্প
রবার্ট মাইকেল ব্যালেন্টাইন
অনুবাদ।। অর্ণব দত্ত

প্রথম অধ্যায়।

সূত্রপাত–আমার প্রথম জীবন ও চরিত্র–আমার অ্যাডভেঞ্চার-পিপাসা ও বিদেশভ্রমণের ইচ্ছা

ঘুরে বেড়ানোর নেশা আমার চিরকালের। ঘুরে বেড়ানোতেই আমার মনের আনন্দ। ঘুরে বেড়িয়েই আমার বেঁচে থাকা। ছেলেবেলায়, কৈশোরে, এমনকি পরিণত বয়সেও আমি ছিলুম ভবঘুরে। শুধু আমার স্বদেশের বনে পাহাড়চূড়ায় আর পাহাড়ি উপত্যকার পথেই ঘুরে বেড়াতুম না, বরং পরম আগ্রহে চষে বেড়াতুম বিপুলা এ পৃথিবীর নানা প্রান্তর।

বিরাট আটলান্টিক মহাসাগরের ফেনিল বুকে জন্ম আমার। সেদিন রাতে ঝড়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কালো রাত্রি। আমার বাবা ছিলেন ক্যাপ্টেন। ঠাকুরদা ছিলেন ক্যাপ্টেন। ঠাকুরদার বাবাও ছিলেন নাবিক। তাঁর বাবা কি ছিলেন ঠিক জানি না। তবে মা বলতেন, তিনি ছিলেন মিডশিপম্যান (প্রশিক্ষণরত তরুণ নৌ-অফিসারদের সাময়িক পদ)। তাঁর দাদামশাই আবার রয়্যাল নেভির অ্যাডমিরাল ছিলেন। এইভাবে যতদূর জানতে পারি, সমুদ্দুরের সঙ্গে আমার প্রায় সব পূর্বপুরুষেরই ছিল খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আমার পিতৃকুল-মাতৃকুল দুয়ের সম্পর্কেই এই কথা খাটে। বাবা দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রায় বের হলে, মা-ও বাবার সঙ্গে যেতেন। তাই জীবনের বেশিরভাগ সময়টা তাঁর জলেই কেটেছিল।

Read the rest of this entry »

 
১ টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন জানুয়ারি 17, 2012 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

বাইবেল-সার :: পথনির্দেশ (পর্ব ২)

ভয় হতে অভয়মাঝে

অর্থের জন্য লালায়িত হয়ো না। তোমাদের যা আছে, তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো। কারণ ঈশ্বর বলেছেন, আমি কখনও তোমাকে পরিত্যাগ করব না বা তোমাকে অসহায় অবস্থায় ফেলব না। তাই সাহস অবলম্বন করে বলো, প্রভু আমার সহায়, তাই লোকে আমার কি করবে না করবে, সে ভয় আমার নেই! (হিব্রু, ১৩।৫-৬)

ভাই সব, তোমরা প্রভু পরমেশ্বরের বলে বলীয়ান হও। তাঁর পরাক্রমেই পরাক্রান্ত হও। ঈশ্বর-বর্ম পরে যুদ্ধে নামো, তবেই শয়তানের সব ছলচাতুরীর বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারবে। তোমাদের সংগ্রাম তো রক্তমাংসের বিরুদ্ধে নয়, তোমাদের সংগ্রাম শাসননীতির বিরুদ্ধে, কর্তৃত্বশক্তির বিরুদ্ধে, শাসকের বিরুদ্ধে, জগতের অন্ধকারের বিরুদ্ধে, অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। তাই ঈশ্বর-বর্ম পরো। তাহলেই দুর্দিনে পায়ের তলায় মাটি পাবে, এবং সব কর্তব্য সেরেও অটল থাকতে পারবে। প্রতিরোধের জন্য দৃঢ় হয়ে দাঁড়াও। সত্য হোক তোমার কটিবন্ধ, ধার্মিকতা হোক তোমার বক্ষস্ত্রাণ। তোমার পদযুগল শান্তির সুসমাচার প্রচারের যাত্রায় সদা উদ্যোগী থাকুক। বিশ্বাসকে সর্বদা ঢাল করে রেখো, তার সাহায্যে অশুভ শক্তির অগ্নিবাণ প্রতিহত করতে পারবে। মাথায় পরো মুক্তির শিরোস্ত্রাণ, হাতে নাও পবিত্র আত্মার তরবারি ঈশ্বরের বাক্য। ভক্তদের জন্য সকল অবস্থাতেই পবিত্র আত্মার সাহায্যে প্রার্থনা কর। সদা সজাগ থাকো। (ইফিসীয়, ৬।১০-১৮)

Read the rest of this entry »

 

৪২টি ভাষার ৯ হাজারেরও বেশি রবীন্দ্র-বইয়ের হদিস দিতে চালু হচ্ছে বিশেষ ওয়েব-গ্রন্থপঞ্জি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৯২৫ সালে শান্তিনিকেতনে

খুব শিগগিরি মাউসের একটি ক্লিকেই আপনার সামনে চলে আসবে রবীন্দ্রনাথের লেখা এবং রবীন্দ্রনাথ-বিষয়ক যাবতীয় বইয়ের গ্রন্থপঞ্জি।

 

গত ৯ জানুয়ারি, ২০১২ তারিখে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় এই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন। প্রণববাবু জানিয়েছেন, রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশন এই গ্রন্থপঞ্জি সংকলনের কাজ করবে। রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা এই কাজে সাহায্য করবেন। দেশের ২০টি লাইব্রেরি ঘেঁটে এই গ্রন্থপঞ্জি সংকলনের কাজে যুক্ত থাকবে। ৪২টি ভাষায় লেখা ৯ হাজারেরও বেশি বইয়ের সম্পূর্ণ তালিকা পাওয়া যাবে এই গ্রন্থপঞ্জিতে। রবীন্দ্রনাথের নিজের রচনা ছাড়াও রবীন্দ্রসাহিত্যের সমালোচনা ও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে দেশে ও বিদেশে প্রকাশিত যাবতীয় বই এই সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হবে।

 

সংস্কৃতি মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ কেন, কোনো সাহিত্যিককে নিয়েই এমন বৃহদাকার কাজ দুর্লভ।

Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ

খ্রিস্টধর্মের প্রথম শহিদ সন্ত স্টিফেন

“স্টোনিং অফ সেন্ট স্টিফেন” (১৬৬০), পিয়েত্রো দ্য করতোনা অঙ্কিত চিত্র

আমাদের নতুন ওয়েব-ঠিকানা:

http://www.bangabharatiemag.com/

 

সময়টা ৩৪ কি ৩৫ খ্রিস্টাব্দ। সানহার্ডিনের বিচারসভায় দাঁড়িয়ে আছেন এক তরুণ যুবক। নাম তাঁর স্টিফেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঈশ্বর ও মোজেসের নিন্দা করেছেন এবং মন্দির ও মোজেসের বিধানের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। বিচারসভার সকলের দৃষ্টি স্টিফেনের মুখে নিবদ্ধ। সে মুখ যেন স্বর্গদূতের মুখ।

আসল ঘটনাটি অন্য। যিশু খ্রিস্টের প্রেরিত শিষ্যমণ্ডলী সাত জন পুণ্যাত্মাকে জেরুজালেমে যিশুর বাণী প্রচারের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম এই যুবক স্টিফেন। স্টিফেন ছিলেন ঈশ্বরের শক্তিতে পরিপূর্ণ। জেরুজালেমে তিনি সাফল্যের সঙ্গে যিশুর বাণী প্রচার করতে লাগলেন। ঈশ্বরের অনুগ্রহে জনসমক্ষে অনেক অলৌকিক কাজও করলেন। এতে কিছু মুক্ত-ক্রীতদাস, সাইরিনি ও আলেকজান্দ্রিয়ার কিছু লোক এবং সিলিসিয়া ও এশিয়ার কিছু লোকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন স্টিফেন। স্টিফেনের কথাগুলি ছিল ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট। তাই সেগুলিকে খণ্ডানোর ক্ষমতা কারোরই হল না। তখন সেই লোকগুলি বাঁকা পথ ধরল। তারা জেরুজালেমের জনসাধারণ ও প্রবীণ সমাজপতিদের প্ররোচিত করল। স্টিফেনকে বেঁধে আনা হল বিচারসভায়। একদল মিথ্যা সাক্ষীও হাজির হল। তারা বললে, “এই লোকটি বলেছে, ঐ নাজারেথের যিশু নাকি এই মন্দির ধ্বংস করবে এবং মোজেস আমাদের যে বিধান দিয়ে গেছেন, তা বদলে দেবে?” প্রধান পুরোহিত স্টিফেনের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “এসব কি সত্যি?”

Read the rest of this entry »

 
2 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন জানুয়ারি 10, 2012 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন (১৮৫৭-১৯৪৭): একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :: পর্ব ৩

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড (১৩ এপ্রিল, ১৯১৯)

১৯১৯ সালের ১০ এপ্রিল ড. কিচলু ও ড. সত্যপালকে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে জড়িত থাকার দায়ে রাওলাট আইনে গ্রেফতার করা হয়। এর ফলে পাঞ্জাব অশান্ত হয়ে ওঠে। এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে অমৃতসরের মানুষ মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ফলত উন্মত্ত জনতার হাতে পাঁচ জন ইউরোপীয়ের প্রাণহানি ঘটে। ১৩ এপ্রিল অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ নামে একটি উদ্যানে মহিলা ও শিশুসহ সহস্রাধিক মানুষ সমবেত হয়। সভা শুরু হওয়ার আগেই জেনারেল ও’ডায়ারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিনা প্ররোচনায় সভাস্থলে গুলিবর্ষণ করে। উদ্যানটি আবদ্ধ হওয়ায় সমবেত জনতার বের হওয়ার পথ ছিল না। এতে শতাধিক পুরুষ, মহিলা ও শিশু নিহত হয়। ১২০০ জন আহত হয়। এই ঘটনা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপরই জাতীয় রাজনীতিতে গান্ধীজির উত্থান ঘটে।

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘স্যার’ উপাধি বর্জন করেন। অনেক বছর পরে ১৯৪০ সালের ১৩ মার্চ পাঞ্জাবের বীর যুবক সর্দার উধম সিং ইংল্যান্ডে গিয়ে লন্ডনের ক্যাক্সটন হলে একটি জনসভায় ও’ডায়ারকে গুলি করে হত্যা করেন। সেই বছরই ৩১ জুলাই ইংল্যান্ডে উধম সিংকে ফাঁসি দেওয়া হয়। ৩৪ বছর পর ১৯৭৪ সালের ১৯ জুলাই শহিদ উধম সিংয়ের দেহাবশেষ ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়।

Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ

বাইবেল-সার :: পথনির্দেশ (পর্ব ১)

মুক্তির পথ

যিশু বললেন, আমিই পথ, আমিই সত্য, আমিই জীবন; আমার মধ্যে দিয়ে না গেলে কেউই পিতার নিকট পৌঁছাতে পারবে না। (জন, ১৪।৬)

প্রভু যিশু খ্রিস্টে বিশ্বাস রাখো, তাইলেই তুমি মুক্তি পাবে, তোমার পরিবার-পরিজনও মুক্ত হবে। (প্রেরিত, ১৬।৩১)

যদি মুখে প্রভু যিশুকে স্বীকার করো, যদি অন্তরে বিশ্বাস করো যে ঈশ্বর তাঁকে মৃত্যুলোক থেকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন, তবে মুক্তি পাবেই। (রোমীয়, ১০।৯)

Read the rest of this entry »

 
4 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন জানুয়ারি 4, 2012 in পুরনো লেখা

 

বাফি দ্য ভ্যাম্পায়ার স্লেয়ার :: মরসুম ১ পর্ব ১ :: হেলমাউথে স্বাগত

বাফি দ্য ভ্যাম্পায়ার স্লেয়ার

সানিডেল হাইস্কুল। নিশুতি রাত। ক্লাসঘরের জানলা খুলে ভিতরে ঢুকে এল একটি ছেলে–সেই স্কুলেরই ছাত্র। সঙ্গে একটি মেয়ে। মেয়েটি যেন কিছুটা ভীত। বোঝাই যাচ্ছে, মেয়েটিকে ফুসলিয়ে অন্ধকার রাতে নির্জন স্কুলবাড়ির মধ্যে টেনে এনেছে ছেলেটা। হঠাৎ যেন মেয়েটি কিসের শব্দ শুনে কুঁকড়ে গেল। ছেলেটা ক্লাসঘরের বাইরে উঁকি মেরে দেখল কেউ আছে কিনা। কেউ নেই। মেয়েটির চোখে যেন অবিশ্বাস। সে নিজে দেখল। তারপরই আচমকা মেয়েটার মুখখানি বিকৃত ভ্যাম্পায়ারের আকার নিল। অতর্কিতে সে আক্রমণ করল ছেলেটিকে।

এই মেয়েটিই ডার্লা। দ্য মাস্টার নামে পরিচিত ভ্যাম্পায়ার-প্রভুর দলের এক অন্যতম প্রধান সদস্যা।

Read the rest of this entry »

 
১ টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন জানুয়ারি 3, 2012 in পুরনো লেখা

 

কলকাতা মেট্রোর ষোলোটি নতুন রুটের সমীক্ষার কাজ শুরু

সম্প্রসারণ পরিকল্পনার মানচিত্র

ভারতীয় রেলের অন্যতম অধিগৃহীত সংস্থা রাইটস কলকাতা মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ষোলোটি নতুন রুটের সমীক্ষার কাজ শুরু করল। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ২০১১-১২ সালের রেল বাজেটে এই ষোলোটি রুট সমীক্ষার প্রস্তাব রেখেছিলেন। এই পরিকল্পনা সাফল্যের মুখ দেখলে শুধু যে বৃহত্তর কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিই কলকাতা মেট্রো পরিষেবার আওতায় আসবে, তাই নয় কলকাতা মেট্রো পরিণত হবে ভারতের বৃহত্তম মেট্রো রেল নেটওয়ার্কে।

Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ

ভগিনী নিবেদিতার প্রবন্ধ ‘নব্য হিন্দুধর্ম’

নব্য হিন্দুধর্ম

ভগিনী নিবেদিতা

[১৯১০ সালের ১৯ মার্চ ‘কর্মযোগিন’ পত্রিকায় এই নিবন্ধটি ‘দ্য নিউ হিন্দুইজম’ নামে প্রকাশিত হয়। পরে এটি নিবেদিতার সিভিল আইডিয়াল অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ন্যাশনালিটি বইতে (দ্য কমপ্লিট ওয়ার্কস অফ সিস্টার নিবেদিতা, চতুর্থ খণ্ড, অদ্বৈত আশ্রম প্রকাশিত) অন্তর্ভুক্ত হয়। হিন্দুধর্ম-বিষয়ে নিবেদিতার গভীর অধ্যয়ন, তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টি ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার নিদর্শন এই নিবন্ধটি।]

ভগিনী নিবেদিতা

আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রতিটি যুগ হিন্দু ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে এক একটি নবযুগের সূচনা করে থাকে। যেসব ধ্যানধারণা জন্মলগ্ন থেকে আমাদের ঘিরে আছে, সেগুলি ভূতাত্ত্বিক শিলাস্তরের মতো একটির পর একটি সঞ্চিত; তার প্রতিটি স্তরই নিজ নিজ জন্মকালীন চিহ্নগুলি বহন করছে। বর্তমান কালের জ্বলন্ত সমস্যাগুলিও সেই রকম আমাদের ধর্ম, চিন্তাভাবনা ও রীতিনীতির উপর নিজের সুস্পষ্ট ছাপ রেখে যাচ্ছে। বোঝাই যায়, যা নতুন তা যদি সব বাধা অতিক্রম করে টিকে থাকতে চায়, তবে তাকে পুরনোর অবশেষ দিয়ে নিজেকে গড়তে হবে, বাইরে থেকে আমদানি-করা উপাদানে কাজ হবে না। আর এই জন্যই আমরা বুঝতে পারি না, আমাদের এই যুগ নব্য হিন্দুধর্মের যুগ। এই হিন্দুধর্ম সনাতন হিন্দুধর্মই, শুধু তা একটি নতুন কণ্ঠ আর এক নতুন প্রয়োগবিধি খুঁজে নিয়েছে। বিবেকানন্দের মহতী বাণী শুনলে মনে হয়, এই কথাগুলি তো আমরা ছেলেবেলায় ঠাকুরদা-ঠাকুরমার মুখেই শুনেছি; মনেই হয় না যে, আসলে তিনি হিন্দুধর্ম সম্পর্কে অনভিজ্ঞ একদল ভিনদেশী শ্রোতামণ্ডলীর সামনে এই কথাগুলি উচ্চারণ করেছিলেন। এই যে আমাদের ধর্ম আজ সারা বিশ্বের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ন্যায্য পাওনাটি দাবি করছে;—পৃথিবীর শেষতম প্রান্তটিতে গিয়েও নিজের আত্মাটিকে খুঁজে নিতে চাইছে;—এই ঘটনাই তো বিপ্লব; এমন এক বিপ্লব, যাকে অস্বীকার করার কথা কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারছে না; সারা বিশ্ব স্বীকার করে নিচ্ছে তার অস্তিত্ব। আবার, সত্য বিপ্লব স্বেচ্ছায় থামে না। তা অনেকটা ঢিল মারার পর জলে ওঠে প্রথম তরঙ্গটির মতো, এই তরঙ্গ থেকে একের পর এক তরঙ্গবৃত্তের সৃষ্টি হয়। সেই রকম প্রতিটি বিপ্লবও সংশ্লিষ্ট সমাজে এক ছন্দোময় পরিবর্তনের সূচনা করে। সেই পরিবর্তন অব্যাহত থাকে, আসে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের পরিবর্তন। শেষে যুগান্তকালে পরবর্তী যুগের শক্তি-পরমাণুগুলি তাদের গ্রাস করে যুগ-পরম্পরায় নতুন শক্তিতে উজ্জীবিত করে তোলে।

জাতীয় ভাবের কোনো আন্দোলনের পিছনে একটি দার্শনিক ভাব থাকা চাই। এমন ভাব, যা নতুন বলে মনে হলেও আসলে হবে মানুষের কাছে এখন যা কিছু পরিচিত, তারই এক প্রবল শক্তিসমষ্টি ও তার পুনঃসৃজিত রূপ। সগর্বে সানন্দে এরই মধ্যে জাতি খুঁজে পাবে তার নিজস্ব জাতীয় মেধাটিকে। প্রত্যেকেই জানবে যে, সে ও তার পূর্বপুরুষেরা এই জাতীয় সম্পদের বিনির্মাণ, বিকাশ ও সংরক্ষণের কাজে নিযুক্ত। সকলের মধ্যে আত্মনির্ভরতার রোমাঞ্চ সঞ্চারিত হবে। তাদের পায়ের তলার মাটি হবে শক্ত, তাদের মাথা হবে উঁচু, প্রথমবারের জন্য তারা তাদের অন্তরে আলোড়ন-সৃষ্টিকারী মহাশক্তিটিকে অনুভব করবে।

Read the rest of this entry »

 

ট্যাগ সমুহঃ

ভক্তকবি গোবিন্দদাস কবিরাজ

ব্রজের মধুর লীলা, যা শুনি দরিবে শিলা, রচিলেন কবি বিদ্যাপতি।

তাহা হৈতে নহে ন্যূন, গোবিন্দের কবিত্বগুণ, গোবিন্দ দ্বিতীয় বিদ্যাপতি।।

(কবি বল্লভদাস)

“আধক আধ-আধ দিঠি অঞ্চলে যব ধরি পেঁখলু কান। কত শত কোটি কুসুমশরে জরজর রহত কি জাত পরান।।” (গোবিন্দদাস কবিরাজ)

চৈতন্য-উত্তর বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি গোবিন্দদাস কবিরাজ। ষোড়শ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভা বলা চলে একাধারে সাধক, ভক্ত ও রূপদক্ষ এই কবিকেই। যৌবনের প্রান্তসীমায় উপনীত হয়ে বৈষ্ণবধর্মে দীক্ষিত হন গোবিন্দদাস। অতঃপর রূপ গোস্বামীর উজ্জ্বলনীলমণি আয়ত্ত্ব করে বৈষ্ণব রসশাস্ত্র অনুসারে রচনা করতে থাকেন রাধাকৃষ্ণ-লীলা ও চৈতন্য-লীলার পদাবলি। তাঁকে বলা হয় বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য। যদিও বিদ্যাপতির রচনার সঙ্গে তাঁর রচনার সাদৃশ্য ও বৈপরীত্য দুইই চোখে পড়ে। তাঁর একটি পদ ‘সুন্দরী রাধে আওয়ে বনি’ পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত হয়ে আধুনিক অ-বৈষ্ণব সমাজেও সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

Read the rest of this entry »

 
১ টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন জানুয়ারি 1, 2012 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

বঙ্গভারতী :: ২০১১ সালের ব্লগ রিভিউ

The WordPress.com stats helper monkeys prepared a 2011 annual report for this blog.

Here’s an excerpt:

A New York City subway train holds 1,200 people. This blog was viewed about 7,800 times in 2011. If it were a NYC subway train, it would take about 7 trips to carry that many people.

Click here to see the complete report.

 
১ টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন জানুয়ারি 1, 2012 in ব্লগ

 

ট্যাগ সমুহঃ