RSS

গোপাল ভাঁড় :: ১

09 ফেব্রু.

কৃষ্ণনগরে ছাউনি ফেলেছেন বাংলার নবাব।

একদিন হঠাৎ একটি ষাঁড় ঢুকে পড়ল নবাবের শিবিরে। নধর ষাঁড়টিকে দেখেই নবাবের নোলা উঠল সপসপিয়ে। তৎক্ষণাৎ তাঁর আদেশে সেটিকে বন্দী করা হল। নবাবের হুকুম হল, ‘কাল এটিকে জবাই করে ভালো করে রান্না করে আমার পাতে দেবে।’

কথাটা গেল নদিয়ার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের কানে। শুনে তো কৃষ্ণচন্দ্রের মাথায় হাত। ও ষাঁড়টি যে তাঁর বৃষোৎসর্গের ষাঁড়। ওটি মুসলমান নবাবের পেটে গেলে যে তাঁর চোদ্দোপুরুষ নরকস্থ হবেন!

গোপাল ভাঁড় বললেন, ‘মহারাজ, চিন্তা করবেন না। আমি দেখছি, কোনো ভাবে ও ষাঁড়টিকে নবাবের খপ্পর থেকে উদ্ধার করা যায় কিনা।’

সেইদিন সন্ধ্যাবেলাই গোপাল গেলেন নবাবের সাক্ষাৎপ্রার্থী হয়ে। গোপাল মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবিদুষক শুনে ভারি খুশি হয়ে নবাব তাঁকে খুব খাতির করলেন।

কথায় কথায় তাঁবুর বাইরে বাঁধা ষাঁড়টির দিকে তাকিয়ে গোপাল বললেন, ‘জাঁহাপনা, এই ষাঁড়টিকে বেঁধে রেখে আপনি যে নগরবাসীর কী উপকার করেছেন, তা আপনাকে কী বলব! ব্যাটার অত্যাচারে আমাদের তো কেষ্টনগরে টেঁকা দায় হয়েছিল!’

নবাবের কৌতুহল জাগল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কেন? কেন? কী করত এই ষাঁড়টা?’

গোপাল বললেন, ‘কী আর বলব, জাঁহাপনা? ওটার জ্বালায় মাঠে বসে কারুর শান্তিতে একটু মলত্যাগ করার উপায় ছিল না। ব্যাটা লোকের মল ছাড়া কিছুই খায় না। সক্কালবেলা কেউ মাঠে বসলেই তাকে ঢুঁসিয়ে তুলে দিয়ে তার মলটা সাবাড় করে। ব্যাটাকে ছাড়বেন না, জাঁহাপনা। বেশ করে বেঁধে রাখুন। আচ্ছা আমাকে তবে হুকুম দিন।’

নবাবের কাছে বিদায় নিয়ে গোপাল পা বাড়ালেন বাড়ির পথে। আসতে আসতে শুনতে পেলেন, নবাব বলছেন, ‘এই হতচ্ছাড়া ষাঁড়টাকে এখনই শিবির থেকে বের করে দে!’

 
5 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন ফেব্রুয়ারি 9, 2012 in পুরনো লেখা

 

5 responses to “গোপাল ভাঁড় :: ১

  1. gargee doshi

    ফেব্রুয়ারি 9, 2012 at 7:02 অপরাহ্ন

    LOl lol,lol.

     
  2. বিধান

    জুলাই 5, 2012 at 2:42 পুর্বাহ্ন

    নমস্কার! দাদা , গোপাল ভাঁড় আমার কাছে সবসমই ভাললাগে…আমি বাংলাদেশ থেকে

     
    • অর্ণব দত্ত

      জুলাই 6, 2012 at 9:07 অপরাহ্ন

      নমস্কার! আরও কিছু দেবো ভেবেছিলাম। পাকেচক্রে দেওয়া হয়ে ওঠেনি। পরে সুবিধে হলে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও খুব ভাল লাগল। 🙂

       
  3. supreo

    নভেম্বর 4, 2012 at 1:10 অপরাহ্ন

    দাদা, আপনার ব্লগটা বেশ ভালো। আমার শুভ কামনা রইলো। শিশুতোষ কিছু যেমন নন্টে-ফন্টে থাকলে ভালো হত।

     
    • অর্ণব দত্ত

      নভেম্বর 4, 2012 at 1:17 অপরাহ্ন

      আপনার সুন্দর মন্তব্যটি পেয়ে খুব আনন্দ পেলাম। আমার ব্লগ আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও খুব ভাল লাগছে। আপনি শিশুতোষ নন্টে-ফন্টে ইত্যাদি চেয়েছেন। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি নন্টেফন্টের আইনগত সত্ত্বাধিকারী নই। সেগুলি ছাপলে কপিরাইট আইন লঙ্ঘিত হবে। আমার ব্লগে আমি আইনবহির্ভূত কিছু ছাপি না। তবে কপিরাইটমুক্ত বিদেশি রচনা অনুবাদ করে মাঝে মাঝে ছাপি।

       

মন্তব্য করুন

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  পরিবর্তন )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  পরিবর্তন )

Connecting to %s

 
%d bloggers like this: