RSS

ওগো মা তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে

06 অক্টো.

ছবির স্বত্ব সংরক্ষিত;আলোকচিত্রীর অনুমতি ও নাম-উল্লেখ ছাড়া অন্যত্র প্রকাশ বেআইনি।

ছবি ও লেখা: অর্ণব দত্ত

আশ্বিনের শারদপ্রাতে তাঁর সোনার মন্দিরের দুয়ার খুলে যায়। আমরা অরূপরতনের আশা করে রূপসাগরে ডুব দিই। দোরে দোরে ঘুরি–কোথাও দেখি তিনি রুদ্রাণী, কোথাও বা দেখি তাঁর জননী মূর্তি। মহিষাসুরমর্দিনী, দশপ্রহরণধারিণী, দশভুজা, দুর্গা দুর্গতিনাশিনী–কত নামে করি তাঁর আরাধনা। কিন্তু দিনের শেষে মনে হয়, এত দেখেও তো মন ভরল না; আরও দেখতে ইচ্ছে করে–‘ওগো মা তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে’। সেই চিরদেখার একটুকরো স্মৃতিই ধরা থাক এখানে।

আহিরীটোলা বি কে পাল পার্ক–‘মৃণালায়তসংস্পর্শ দশবাহুসমন্বিতাম্।’

খিদিরপুর ভেনাস ক্লাব–‘চক্ষু উপাড়িতে রাম বসিলা সাক্ষাতে। হেনকালে কাত্যায়নী ধরিলেন হাতে।।’

বেহালা শ্রীসংঘ–দেবী অষ্টাদশভুজা মহিষাসুরমর্দিনী।

ভবানীপুর বকুলবাগান সর্বজনীন–‘মা গো আনন্দময়ী, নিরানন্দ কোরো না।’

বড়িশা নবীন সংঘ–‘আলোয় আলোকময় করে হে এলে আলোর আলো’।

বড়িশা সর্বজনীন–‘মহিষঘ্নি মহামায়ে চামুণ্ডে মুণ্ডমালিনী’

ভবানীপুর দক্ষিণ কলকাতা সর্বজনীন–‘জ্যোৎস্নায়ৈ চেন্দুরূপিণ্যৈ সুখায়ৈ সততং নমঃ’।

বালিগঞ্জ দেশপ্রিয় পার্ক সর্বজনীন–‘নমস্তে জগদ্ব্যাপিকে বিশ্বরূপে, নমস্তে জগত্তারিণী ত্রাহি দুর্গে।’

‘জনস্য হৃদি সংস্থিতে’–বাগবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব

মহম্মদ আলি পার্ক সর্বজনীন–‘স্ত্রীয়ঃ সমস্তাঃ সকলা জগতসু।’

আহিরীটোলা শীতলাতলা সর্বজনীন–‘ইত্থং যদা যদা বাধা দানবোত্থা ভবিষ্যতি। তদা তদাবতীর্য্যাহং করিষ্যাম্যরিসংক্ষয়ম্।।’

বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন–মাটির কন্যা মৃন্ময়ী।

ভবানীপুর ৭৫ পল্লী সর্বজনীন–‘মা বিরাজে সর্বঘটে’।

ভবানীপুর চক্রবেড়িয়া সর্বজনীন–‘পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে’।

বালিগঞ্জ হিন্দুস্তান ক্লাব–কম্বোডিয়ান মন্দির-ভাস্কর্যের আদলে মাতৃপ্রতিমা।

বালিগঞ্জ মনোহরপুকুর সর্বজনীন–‘কোথা সে তোর দরিদ্রবেশ’-সাঁওতালি মায়ের বেশে গণেশজননী।

কালীঘাট সহযাত্রী–‘দুর্গায়ৈ দুর্গপারায়ৈ সারায়ৈ সর্বকারিণ্যৈ।’

বড়িশা তপোবন–‘তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে’।

বালিগঞ্জ সিংহী পার্ক সর্বজনীন–‘এসেছি তোমারি দ্বারে।’

বেলুড় মঠের দুর্গাপূজা।

ভবানীপুর রূপচাঁদ মুখার্জি লেন সর্বজনীন–‘সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে’।

শোভাবাজার বেনিয়াটোলা সর্বজনীন–‘ব্রহ্মরূপা সনাতনী’।

বড়িশা উদয়ন পল্লী–‘এতত্তে বদনং সৌম্যং লোচনত্রয়ভূষিতম্।’

বেহালা নূতন দল–কালহরা।

বেহালা প্রগতি সংঘ–‘ত্রৈলোক্যবাসিনামিড্যে লোকানাং বরদা ভব।’

বেহালা ত্রিশক্তি সংঘ–রাজপুতানী বীরাঙ্গনার বেশে মা।

কলেজ স্কোয়ার সর্বজনীন–‘মহিষাসুরনির্ণাশিবিধাত্রী বরদে নমঃ’।

একডালিয়া এভারগ্রিন–‘কনকোজ্জ্বল সবিতাবরণী’।

ভবানীপুর নূতন প্রভাতী সংঘ–‘ত্রিভঙ্গস্থানসংস্থানাং মহিষাসুরমর্দিনীম্।’

বালিগঞ্জ ত্রিধারা সম্মিলনী–দুর্গা যখন রাজপুতানার অম্বা।

হাতিবাগান সর্বজনীন–ত্রিশূলধারিণী।

খিদিরপুর ২৫ পল্লী–জগদ্ধাত্রীবেশে দুর্গা

বড়িশা সবুজসাথী–জগন্নাথের বেশে জগন্মাতা।

খিদিরপুর ৭৪ পল্লী–‘মাতৃরূপেণ সংস্থিতা’।

ভবানীপুর ২২ পল্লী নর্দার্ন পার্ক সর্বজনীন–কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রাজরাজেশ্বরীবেশে মা।

বড়িশা জনকল্যাণ সংঘ–তৃতীয় মহাবিদ্যা ষোড়শীর বেশে দুর্গা।

© অর্ণব দত্ত

 
2 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন অক্টোবর 6, 2011 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

2 responses to “ওগো মা তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে

  1. Indranil modak

    সেপ্টেম্বর 7, 2012 at 4:08 পুর্বাহ্ন

    আপনার ফটোর হাত চমৎকার । দেখে আনন্দ পেলাম।

     

মন্তব্য করুন

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  পরিবর্তন )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  পরিবর্তন )

Connecting to %s

 
%d bloggers like this: