RSS

অকালবোধন: দুর্গাপূজার কিছু অজানা কথা

23 সেপ্টে.

ছেলেবেলায় বাবার সঙ্গে যেতুম খিদিরপুরের ভেনাস ক্লাবের ঠাকুর দেখতে। ওটা কলকাতা শহরের কোনো কেষ্ট-বিষ্টু পুজো নয়–কিন্তু আজও যাই সেই পুজো দেখতে। কারণ, কলকাতা শহরের এই একটি ক্লাবে গেলেই ফি বছর রামচন্দ্রের অকালবোধন চাক্ষুষ করার সুযোগ মেলে। মা দুর্গা সেখানে ‘সায়ূধবাহনা’ হলেও ‘সপরিবারা’ নন। তাঁর চারপাশে থাকেন লক্ষ্মণ, বিভীষণ, হনুমান–পদতলে অসুরের বদলে বসে থাকেন স্বচক্ষু উৎপাটনে উদ্যত রামচন্দ্র স্বয়ং।

দুর্গাপূজায় রামচন্দ্রের পূজার কোনো বিধান নেই। তাই সম্ভবত বাংলায় অকালবোধন থিমের আকাল। তবে অকালবোধনের গল্প বাঙালিরা শিশুকাল থেকে শুনে আসছে। সৌজন্যে কৃত্তিবাস ওঝা। পনেরো শতকের এই বাঙালি রামায়ণ অনুবাদক বেশ ফলাও করেই রামচন্দ্রের দুর্গাপুজোর গল্প শুনিয়েছেন। তবে গল্পটা সবিস্তারে খুব কম লোকই জানেন। তাই একবার বলে রাখা ভাল।

যুদ্ধে একে একে মারা পড়েছেন লঙ্কার সব বড়ো বড়ো বীর। রাবণ তখন একা কুম্ভের মতো রক্ষা করছেন লঙ্কাপুরী। তিনিও শ্রান্ত, বিধ্বস্ত। এমনকি একবার তো হনুমানের হাতে প্রচুর মার খেয়ে অজ্ঞানই হয়ে গেলেন। বেগতিক বুঝে রাবণ অম্বিকার স্তব করলেন:

আর কেহ নাহি মোর ভরসা সংসারে।

শঙ্কর ত্যজিল তেঁই ডাকি মা তোমারে।।

রাবণে কাতর স্তবে হৈমবতীর হৃদয় টলল। তিনি কালী রূপে রাবণকে কোলে তুলে নিয়ে তাঁকে দিলেন অভয়। এই খবর রামের কানে যেতেই তিনি গুণলেন প্রমাদ। দেবতাদের ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড় হল। ইন্দ্র ব্রহ্মার কাছে গিয়ে কাকুতি-মিনতি করে একটা কিছু করার অনুরোধ জানালেন। বুড়ো ঠাকুরদাদা ব্রহ্মা এসে রামকে পরামর্শ দিলেন, “দুর্গাপূজা করো। আর কোনো উপায় নেই।” রাম বললেন, “তা কেমন করে হয়? দুর্গাপূজার প্রশস্ত সময় বসন্তকাল। শরৎকাল তো অকাল। তাছাড়া বিধান রয়েছে, অকালবোধনে নিদ্রা ভাঙাতে হবে কৃষ্ণানবমীতে। সুরথ রাজা প্রতিপদে পূজারম্ভ করেছিলেন। কিন্তু সেকাল তো আর নেই। পূজা করি কিভাবে?” ব্রহ্মা বললেন, “আমি ব্রহ্মা, বিধান দিচ্ছি, শুক্লাষষ্ঠীতে বোধন করো।” শুনে রাম মহাখুশি হলেন।

চণ্ডীপাঠ করি রাম করিল উৎসব।

গীত নাট করে জয় দেয় কপি সব।।

রাম চণ্ডীপাঠ করে উৎসব করলেন। সেই সুযোগে বাঁদরের দল খানিকটা নাচগান করে নিল (আহা, কৃত্তিবাস যেন আমাদের পাড়ার কথাই লিখেছেন গো!)।

সে কথা যাক, রামচন্দ্র কিভাবে দুর্গাপূজা করেছিলেন; তার একটু বর্ণনা দেবো। চণ্ডী-তে আছে, সুরথ রাজা দুর্গার মাটির মূর্তি গড়ে পূজা করেছিলেন (‘তৌ তস্মিন্ পুলিনে দেব্যাঃ কৃত্বা মূর্ত্তিং মহীময়ীম্।’ চণ্ডী, ১৩।১০)। রামচন্দ্রও পূজা করেছিলেন নিজের হাতে তৈরি মাটির প্রতিমায় (‘আপনি গড়িলা রাম প্রতিমা মৃন্ময়ী’)। ষষ্ঠীর সন্ধায় বেল গাছের তলায় হল দেবীর বোধন। অধিবাসের সময় রাম স্বহস্তে বাঁধলেন নবপত্রিকা।

সায়াহ্নকালেতে রাম করিল বোধন।

আমন্ত্রণ অভয়ার বিল্বাধিবাসন।। …

আচারেতে আরতি করিলা অধিবাস।

বান্ধিলা পত্রিকা নব বৃক্ষের বিলাস।।

সপ্তমীর দিন সকালে স্নান করে রাম ‘বেদবিধিমতে’ পূজা করলেন। অষ্টমীর দিনও তাই। অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে রাম সন্ধিপূজা করলেন। দুই দিনই রাতে চণ্ডীপাঠ ও নৃত্যগীত হল।

রামচন্দ্রের নবমী পূজার বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন কৃত্তিবাস। বহুরকম বনফুল ও বনফলে পূজার আয়োজন হল। ‘তন্ত্রমন্ত্রমতে’ পূজা হল। কিন্তু দেবী দর্শন দিলেন না। তখন বিভীষণ উপদেশ দিলেন, “নীলপদ্মে পূজা করুন। দেবী নিশ্চয় দর্শন দেবেন।” কিন্তু নীলপদ্ম দুর্লভ। দেবতারাও তার খোঁজ রাখেন না। পৃথিবীতে একমাত্র দেবীদহ নামক হ্রদেই নীলপদ্ম মেলে। কিন্তু সেও লঙ্কা থেকে দশ বছরের পথ। শুনে হনুমান নিমেষে উপস্থিত হলেন দেবীদহে। এনে দিলেন একশো আটটি নীলপদ্ম। কিন্তু দুর্গা ছলনা করে একটি পদ্ম রাখলেন লুকিয়ে। রাবণকে তিনি কথা দিয়ে রেখেছিলেন কিনা। কিন্তু রামও ছাড়বার পাত্র নন। একটি নীলপদ্মের ক্ষতিপূরণে তিনি নিজের একটি চোখ উপড়ে নিবেদন করতে চাইলেন।

চক্ষু উৎপাটিতে রাম বসিলা সাক্ষাতে।

হেনকালে কাত্যায়নী ধরিলেন হাতে।।

কর কি কর কি প্রভু জগত গোঁসাই।

পূর্ণ তোমার সঙ্কল্প চক্ষু নাহি চাই।।

বাধ্য হয়েই দুর্গা রামচন্দ্রকে রাবণ বধের বর দিলেন। যাওয়ার আগে বলে গেলেন:

অকালবোধনে পূজা     কৈলে তুমি দশভূজা

বিধিমতে করিলা বিন্যাস।

লোকে জানাবার জন্য আমারে করিতে ধন্য

অবনীতে করিলে প্রকাশ।।

এরপর রাম দশমীপূজা সমাপ্ত করে দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন দিলেন। তারপরে রাবণ বধের গল্প তো সবাই জানে।

রামচন্দ্রের দুর্গাপূজার এই ইতিহাস বাল্মীকি রামায়ণে নেই। আছে দেবীভাগবত পুরাণকালিকাপুরাণ-এ। খ্রিস্টীয় নবম-দ্বাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে লেখা এই দুই পুরাণ, গবেষক মহলের মতে, বাঙালি স্মার্তদের দুই মহাকীর্তি। কৃত্তিবাসের আগেও যে বাংলায় দুর্গাপূজার ব্যাপক প্রচলন ছিল, তার প্রমাণ ভবদেব ভট্টের মাটির মূর্তিতে দুর্গাপূজার বিধান (একাদশ শতাব্দী), বিদ্যাপতির দুর্গাভক্তি-তরঙ্গিনী (চতুর্দশ শতাব্দী), শূলপাণির দুর্গোৎসব-বিবেক (চতুর্দশ শতাব্দী) ও স্মার্ত রঘুনন্দনের দুর্গাপূজা-তত্ত্ব (পঞ্চদশ শতাব্দী)। অর্থাৎ, কৃত্তিবাসের যুগে (পঞ্চদশ শতাব্দীতে) দুর্গাপূজা ছিল বাঙালির এক প্রধান উৎসব। আর সেই জন্যই তিনি রামচন্দ্রকে দিয়ে দুর্গাপূজা করালেন সনাতন বাঙালি পন্থায়।

যদিও কৃত্তিবাসী রামায়ণের দুর্গোৎসব বিবরণের সঙ্গে পৌরাণিক দুর্গোৎসব বর্ণনা ঠিক হুবহু মেলে না। যেসব পুরাণমতে আজ বাংলায় দুর্গাপূজা হয়, তার একটি হল কালিকাপুরাণ। এই পুরাণে রামচন্দ্রের দুর্গাপূজার বর্ণনা পাই। সংস্কৃত শ্লোক ক্লান্তিকর ঠেকতে পারে, তাই সর্বজনবোধ্য বাংলা ভাষায় কালিকাপুরাণ-এর ষাট অধ্যায়ের ২৬ থেকে ৩৩ সংখ্যক শ্লোকগুলি অনুবাদ করে দিচ্ছি:

পূর্বে রামের প্রতি অনুগ্রহ করে রাবণ বধে তাঁকে সাহায্য করার জন্য ব্রহ্মা রাত্রিকালে এই মহাদেবীর বোধন করেছিলেন। বোধিতা হয়ে দেবী গেলেন রাবণের বাসভূমি লঙ্কায়। সেখানে তিনি রাম ও রাবণকে দিয়ে সাত দিন ধরে যুদ্ধ করালেন। নবমীর দিন জগন্ময়ী মহামায়া রামের দ্বারা রাবণ বধ করেন। যে সাত দিন দেবী রামরাবণের যুদ্ধ দেখে আনন্দ করলেন, সেই সাত দিন দেবতারা তাঁর পূজা করেন। রাবণ নিহত হলে নবমীর দিন ব্রহ্মা সকল দেবতাকে সঙ্গে নিয়ে দেবীর বিশেষ পূজা করলেন। তারপর দশমীর দিন শবরোৎসব উদযাপিত হল। শেষে দেবীর বিসর্জন হল।

এখানে রাত্রিকাল কথাটির একটু ব্যাখ্যা প্রয়োজন। এই ব্যাখ্যার মধ্যেই রয়েছে, শরৎকালকে রাম কেন দুর্গাপূজার পক্ষে অকাল বলেছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর। সূর্যের দক্ষিণায়ণ দেবতাদের রাত। এই সময় দেবতারা ঘুমান। শরৎকাল পরে দক্ষিণায়ণের সময়। এই সময় দেবতাকে পূজা করতে হলে, তাকে জাগরিত করতে হয়। এই প্রক্রিয়াটিই হল বোধন।

বৃহদ্ধর্মপুরাণ-এ রামের জন্য ব্রহ্মার দুর্গাপূজার বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। এই পুরাণের মতে, কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গের পর রামচন্দ্রের অমঙ্গল আশঙ্কায় দেবতারা হলেন শঙ্কিত। তখন ব্রহ্মা বললেন, দুর্গাপূজা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। তাই রামচন্দ্রের মঙ্গলের জন্য স্বয়ং ব্রহ্মা যজমানী করতে রাজি হলেন। তখন শরৎকাল। দক্ষিণায়ণ। দেবতাদের নিদ্রার সময়। এতএব ব্রহ্মা স্তব করে দেবীকে জাগরিত করলেন। দেবী তখন কুমারীর বেশে এসে ব্রহ্মাকে বললেন, বিল্ববৃক্ষমূলে দুর্গার বোধন করতে। দেবতারা মর্ত্যে এসে দেখলেন, এক দুর্গম স্থানে একটি বেলগাছের শাখায় সবুজ পাতার রাশির মধ্যে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি পরমাসুন্দরী বালিকা। ব্রহ্মা বুঝলেন, এই বালিকাই জগজ্জননী দুর্গা। তিনি বোধন-স্তবে তাঁকে জাগরিত করলেন। ব্রহ্মার স্তবে জাগরিতা দেবী বালিকামূর্তি ত্যাগ করে চণ্ডিকামূর্তি ধরলেন। ব্রহ্মা বললেন, “রাবণবধে রামচন্দ্রকে অনুগ্রহ করার জন্য তোমাকে অকালে জাগরিত করেছি। যতদিন না রাবণ বধ হয়, ততদিন তোমার পূজা করব। যেমন করে আমরা আজ তোমার বোধন করে পূজা করলাম, তেমন করেই মর্ত্যবাসী যুগ যুগ ধরে তোমার পূজা করবে। যতকাল সৃষ্টি থাকবে, তুমিও পূজা পাবে এইভাবেই।” একথা শুনে চণ্ডিকা বললেন, “সপ্তমী তিথিতে আমি প্রবেশ করব রামের ধনুর্বাণে। অষ্টমীতে রাম-রাবণে মহাযুদ্ধ হবে। অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে রাবণের দশমুণ্ড বিচ্ছিন্ন হবে। সেই দশমুণ্ড আবার জোড়া লাগবে। কিন্তু নবমীতে রাবণ নিহত হবেন। দশমীতে রামচন্দ্র করবেন বিজয়োৎসব।” হলও তাই। মহাবিপদ কেটে গেল অষ্টমীতে; তাই অষ্টমী হল মহাষ্টমী। রাবণ বধ করে মহাসম্পদ সীতাকে লাভ করলেন রাম; তাই নবমী হল মহানবমী।

কৃত্তিবাসী রামায়ণে দুর্গাপূজা করেছিলেন রাম। কিন্তু পুরাণ বলে, রামের মঙ্গলের জন্য দেবগণ করেছিলেন পূজার আয়োজন। পুরোহিত হয়েছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। কৃত্তিবাসের দুর্গাপূজা বিবরণে বাংলায় প্রচলিত লৌকিক প্রথার অনেক নিদর্শন ছড়িয়ে আছে। কিন্তু সেই বিবরণ সম্পূর্ণ শাস্ত্রানুগ নয়। যদিও কৃত্তিবাসকে ধরে লোকে আজকাল মনে করে, শরৎকালের দুর্গাপূজার সূচনা করেছিলেন রাম। কিন্তু এই সম্মান বুড়ো ঠাকুরদাদারই পাওয়া উচিত। আমাদের মনে রাখা উচিত, বাংলার লক্ষ লক্ষ দুর্গাপূজায় আজও বোধনের মন্ত্রে উচ্চারিত হয়:

ওঁ ঐং রাবণস্য বধার্থায় রামস্যানুগ্রহায় চ।

অকালে ব্রহ্মণা বোধো দেব্যস্তয়ি কৃতঃ পুরা।।

অহমপাশ্বিনে ষষ্ঠ্যাং সায়াহ্নে বোধয়মি বৈ।

(হে দেবী, রাবণবধে রামকে অনুগ্রহ করার জন্য ব্রহ্মা তোমার অকালবোধন করেছিলেন, আমিও সেইভাবে আশ্বিন মাসের ষষ্ঠী তিথিতে সন্ধ্যায় তোমার বোধন করছি।)

কৃতজ্ঞতা স্বীকার–

১। রামায়ণ: কৃত্তিবাস বিরচিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা।

২। কালিকাপুরাণম্, পঞ্চানন তর্করত্ন সম্পাদিত, নবভারত পাবলিশার্স, কলকাতা।

৩। পূজা-বিজ্ঞান, স্বামী প্রমেয়ানন্দ, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা।

(সঙ্গের ছবিটি ২০০৮ সালে তোলা ভেনাস ক্লাবের ‘অকালবোধন’ চিত্র। আলোকচিত্রী লেখক স্বয়ং।)

 
9 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন সেপ্টেম্বর 23, 2011 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

9 responses to “অকালবোধন: দুর্গাপূজার কিছু অজানা কথা

  1. Rajib Chowdhury

    সেপ্টেম্বর 29, 2011 at 8:38 পুর্বাহ্ন

    দাদা – আমাদের ব্লগে আপনার লেখা কপি হয়েছে বলে আমরা দুঃখিত। সেখানে লেখক এর সাথে আমরা কথা বলেছি। তিনি আপনার সাইটের লিংক নিচে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আমরা ও তা দেখলাম। তবু ও আপনার লেখা বলে আপনার নাম এবং সাইটের লিংক দেবার ব্যাবস্থা করেছি। আপনি কোন ভাবে আপনার মনে সংশয় রাখবেন না। আর আপনার লেখা উনারা দুইজন আর কপি করবেন না বলেই কথা দিয়েছেন।

    আসলে আমাদের ব্লগ টা নতুন। মাত্র ৪ মাস হয়েছে। এর মাঝেই বেশ সারা পেয়েছি আমরা। তাই সিরিয়াসলি আমরা ব্লগটা রান করাতে যাচ্ছি/ এই জন্য কিছু লেখা অন্য সাইট থেকে এনে ব্লগ কে সমৃদ্ধ করেছে লেখক রা। কিন্তু সাইটের সোর্স দেয়া থাকে।

    আপনার সাইটের মূল্যবান লেখা গুলো কেউ চুরি করুক সেটা আমরা চাইনা। তাই অনুরোধ রইল দয়া করে আমাদের সাইটে আপনার লেখা গুলো শেয়ার করুন একটা একাউন্ট খুলার মাধ্যমে। খুব কম সময়ে খুলে শুধু মাত্র কিছু দিন পর পর আপনার সাইটের লেখা গুলো আপনি ই না হয় ছাড়লেন। তাতে আমাদের জ্ঞান বাড়ল- আপনার সাইটের ও কিছু প্রচারনা হল। যদি ও আপনার সাইটের প্রচারনা অনেক বেশি- কিন্তু আমরা একসাথে থাকলে নিজেদের মাঝে জ্ঞান বিতরন করলে আমাদের ই উপকার হবে ।

    কথা টা বিবেচনা করবেন দাদা
    বিনীত – রাজীব চৌধুরী

     
    • অর্ণব দত্ত

      সেপ্টেম্বর 29, 2011 at 10:49 পুর্বাহ্ন

      প্রিয় রাজীব,
      আপনার উত্তর পেয়ে সুখী হলুম। আমার লেখা আমি বিক্রয় করি না। কেউ অন্য কোথাও ছাপার অনুমতি চাইলে, খুশি মনেই তা দিয়ে থাকি। কিন্তু অনুমতি না নিয়ে ছাপার ব্যাপারে আমার আপত্তি রয়েছে, তার প্রধান কারণ, সেটি আমার অজ্ঞাতসারে হয়। আমি ইতিপূর্বে দেখেছি, আমার কয়েকটি লেখা হুবহু টুকে এক জন নিজের নামে চালিয়েছিলেন (আপনাদের ব্লগে নয়)! সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আমাকে অনুমতির ব্যাপারে একটু কড়া হতেই হয়।

      আপনাদের ব্লগের অস্তিত্বের কথা জানতাম না। এবার জানা হল, আমার লেখাগুলি আপনাদের ব্লগেও শেয়ার করা যাবে। ধন্যবাদান্তে-

      অর্ণব দত্ত

       
  2. Rajib Chowdhury

    সেপ্টেম্বর 29, 2011 at 11:43 পুর্বাহ্ন

    দাদা আমি সেই ব্লগে রাজেন্দ্র নামে আছি। আপনি দয়া করে মিনিট পাচেক খরচ করে আমাদের সাইটে রেজিস্টার করে আপনার এই লেখার খনিটি আমাদের সাথে শেয়ার করেন। 🙂 আপনার সাইটে এমন কিছু বিষয় আছে যা আমি নিজেই জানিনা- মানূষ কে জানাবো কিভাবে?? আর কপিরাইটের ব্যাপারে আমি ও খুঁতখুঁতে। যে কান্ড টা হয়েছে সেটা পুরোতাই ভুল্বোঝাবুঝি। আশা করি আপনি সেটা বুঝতে পারবেন। আর আমাদের সাথে নিয়মিত আপনার লেখা গুলো শেয়ার করবেন প্লিজ। আপনাকে আমরা পেলে ধন্য হব। 🙂
    বিনীত
    হিন্দুইজম ব্লগ এর নগণ্য এডমিন
    রাজীব চৌধুরী

     
    • অর্ণব দত্ত

      সেপ্টেম্বর 29, 2011 at 6:54 অপরাহ্ন

      প্রিয় রাজীব,
      আমি বুঝতে পেরেছি, কপিরাইট-ভঙ্গের ব্যাপারটা আপনাদের ইচ্ছাকৃত নয়। সম্ভবত পুরো ব্যাপারটি অবগত না হয়েই করেছেন। আপনাদের আমি সর্বান্তকরণে মার্জনা করছি। লেখা সরানোর প্রয়োজন ছিল না। তবে আপনাদের অনুরোধক্রমে আমার লেখাগুলি আপনাদের সঙ্গেও শেয়ার করব। ধন্যবাদান্তে-

      অর্ণব দত্ত।

       
  3. Rajib Chowdhury

    সেপ্টেম্বর 29, 2011 at 11:45 পুর্বাহ্ন

    আর আমি সাইট থেকে সেই লেখা দুইটি সরিয়ে নিয়েছি

    আপনাকে স্বাগতম জানাই নিজেই নিজের লেখা শেয়ার করার জন্য

     
  4. Rajib Chowdhury

    সেপ্টেম্বর 29, 2011 at 11:51 পুর্বাহ্ন

    আর আমাকে ক্ষমা করে দেবেন আপনার লেখার কপিরাইট না মেনে পোষ্ট করা লেখক দের লেখার অনুমতি দেবার জন্য।।

    আমি অনেক লজ্জিত

    ক্ষমা করবেন

    দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন – লেখক দের এবং সাইটের তরফ থেকে আমি নত মস্তকে ক্ষমা প্রার্থী

     
  5. Indranil modak

    সেপ্টেম্বর 6, 2012 at 10:11 অপরাহ্ন

    প্রিয়জনকে আপনার দেয়া সবচেয়ে বড় উপহারটি হল তাকে সময় দেয়া।কাউকে সময় দেওয়ার মাধ্যমে আপনি যেন তাকে আপনার জীবনের কিছু অংশ দিয়ে দিচ্ছেন যা আপনি কখনো ফেরত চাইবেন না। (…. Inspiration)

     
  6. chhandam

    সেপ্টেম্বর 30, 2012 at 6:17 অপরাহ্ন

    khub pranobanto lekha.porte darun laglo.

     

মন্তব্য করুন

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  পরিবর্তন )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  পরিবর্তন )

Connecting to %s

 
%d bloggers like this: