RSS

বাঙালির দুর্গাপূজা ঠিক কতটা প্রাচীন?

20 সেপ্টে.

এই লেখাটি একাধিক ওয়েবসাইটে বেআইনিভাবে চুরি করা হয়েছে। একমাত্র এই ব্লগই লেখাটি প্রকাশের আইনত স্বত্বাধিকারী।

বাংলায় দুর্গোৎসবের প্রবর্তনা কে কবে করেছিল, সে সম্পর্কে কিছুই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। সাধারণভাবে মনে করা হয়, অধুনা বাংলাদেশের তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ণ নাকি প্রথম দুর্গাপূজা করেন। যদিও বাংলায় দুর্গোৎসবের ইতিহাস যে কংসনারায়ণের সময়কাল থেকে শুরু হয় না, তা প্রায় হলপ করেই বলা যায়। কংসনারায়ণ দুর্গোৎসব করেছিলেন ষোড়শ শতাব্দীর শেষলগ্নে কিংবা সপ্তদশ শতাব্দীর সূচনায়। কিন্তু তারও আগেকার সাহিত্যে ও অন্যান্য সূত্রে বাংলায় দুর্গাপূজার উল্লেখ পাওয়া যায়। খুব সম্ভবত, যে বিপুল ব্যয়ে কংসনারায়ণ দুর্গোৎসব করেন, তা-ই সেযুগের জনমানসে দুর্গাপূজার সংজ্ঞা দিয়েছিল বদলে। আর সেই থেকেই কংসনারায়ণী মিথের উৎপত্তি।

শরৎকালের দুর্গাপূজার একটি প্রাচীন গল্প প্রচলিত আছে হিউয়েন সাংকে নিয়ে। ৬৩০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ কোনো এক সময়ে শরৎকালে গঙ্গাপথে চলেছিলেন এই চীনা পর্যটক। পথে পড়লেন দস্যুর কবলে। দস্যুরা তাকে দেবী দুর্গার সামনে বলি দেওয়ার জন্য ধরে নিয়ে চলল। বলির আয়োজন সারা। এমন সময় খ্যাপা শ্রাবণ ছুটে এল আশ্বিনের আঙিনায়। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল সব আয়োজন। দস্যুরা মাথা বাঁচাতে যে যেদিকে পারল দিল ছুট। সেই সুযোগে নিজেকে মুক্ত করে পালালেন হিউয়েন সাং।

এই গল্প সত্য কি মিথ্যা বলা যায় না। তবে একথা সত্যি যে দুর্গাপূজার ইতিহাস একেবারেই অর্বাচীন নয়। যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি বলেছেন, ‘দুর্গাপূজা বৈদিক যজ্ঞের রূপান্তর, তন্ত্র দ্বারা সমাচ্ছন্ন।’ তাঁর মতে, বৈদিক যুগে প্রত্যেক ঋতুর প্রারম্ভে যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হত। শরৎঋতুর আরম্ভেও হত। ‘এই শরৎকালীন যজ্ঞই রূপান্তরিত হইয়া দুর্গাপূজা হইয়াছে।’ তাঁর যুক্তি? তিনি বলেন, বৈদিক যজ্ঞ ও দুর্গাপূজার মধ্যে অনেক প্রভেদ রয়েছে। কিন্তু উভয়ের উদ্দেশ্য একই। বৈদিক যজ্ঞের উদ্দেশ্য, ধন-ধান্য-পুত্র, রোগমুক্তি ও শক্তিনাশের শক্তি প্রার্থনা। দুর্গার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র বলে, ‘আয়ুরারোগ্যং বিজয়ং দেহি দেবি নমস্তুতে। রূপং দেহি যশো দেহি ভাগ্যং ভগবতি দেহি মে। পুত্রান দেহি ধনং দেহি সর্ব্বকামাংশ্চ দেহি মে।।’ (হে ভগবতী, আপনাকে প্রণাম করি, আপনি আমাকে রোগমুক্ত করুন, বিজয়ী করুন, যশ ও সৌভাগ্য প্রদান করুন, পুত্র ও ধন দিন এবং আমার সকল কামনা পূর্ণ করুন।) যোগেশচন্দ্র আরও দেখাচ্ছেন, দুর্গাপূজার মন্ত্রে ‘যজ্ঞ’ শব্দটির পরিব্যাপ্তি কতটা। বৈদিক হিন্দুধর্ম ছিল যজ্ঞসর্বস্ব। দুর্গাপূজাতেও দেখি, দেবীকে যজ্ঞভাগ গ্রহণে আহ্বান জানানো হচ্ছে (‘দেবি যজ্ঞভাগান্ গৃহাণ’) এবং পশুবলি দেওয়ার সময় বলা হচ্ছে, যজ্ঞের নিমিত্তই পশুর সৃষ্টি (‘যজ্ঞার্থে পশবঃ সৃষ্টাঃ তস্মিন্ যজ্ঞে বধোঽবধঃ’)। যোগেশচন্দ্রের তাই অনুমান, বৈদিক শারদ যজ্ঞই তন্ত্রের প্রভাবে পর্যবসিত হয়েছে আধুনিক দুর্গোৎসবে। হৃদয়ে যা জাগে, শরৎমেঘে তাই তো দেখা যায়।

বাংলায় যে দুর্গাপূজা প্রচলিত, তা মূলত মহিষাসুরমর্দিনীর পূজা। মহিষাসুরমর্দিনীর পূজার প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ-এ (রচনাকাল আনুমানিক অষ্টম শতাব্দী)। এছাড়া দুর্গাপূজার কথা পাওয়া যায় মার্কণ্ডেয় পুরাণ (মূল পুরাণটি চতুর্থ শতাব্দীর রচনা, তবে দুর্গাপূজার বিবরণ-সম্বলিত সপ্তশতী চণ্ডী অংশটি পরবর্তীকালের সংযোজন), বৃহন্নন্দীকেশ্বর পুরাণ (সঠিক রচনাকাল অজ্ঞাত), কালিকা পুরাণ (রচনাকাল ৯ম-১০ম শতাব্দী) ও বৃহদ্ধর্ম পুরাণ-এ (রচনাকাল ১২শ শতাব্দী)। ৯ম-১২শ শতাব্দীর মধ্যকার সময়ে নির্মিত একাধিক মহিষাসুরমর্দিনীর মূর্তি বাংলার নানা স্থান থেকে আবিষ্কৃতও হয়েছে। সুতরাং, ষোড়শ শতাব্দীর কোনো এক শরততপনে প্রভাতস্বপনে কংসনারায়ণের পরান কী চাইল, আর তিনি মহিষাসুরমর্দিনীর মূর্তি গড়িয়ে ফেলে পূজা করলেন–একথা মনে করার কোনো কারণ নেই।

দুর্গাপূজার প্রাচীনত্ব অনুধাবনে আরও একটি উল্লেখযোগ্য প্রমাণ রঘুনন্দনের (১৫৪০-১৫৭৫) ‘দুর্গাপূজা তত্ত্ব’ গ্রন্থখানি। নবদ্বীপের এই স্মার্ত পণ্ডিতের লেখা গ্রন্থটিতে দুর্গাপূজার যাবতীয় বিধান রয়েছে। এই সব বিধান তিনি নিজে সৃষ্টি করেননি। আগেকার পুরাণ ও স্মৃতিশাস্ত্র থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করে পূজাপদ্ধতি লিখেছেন। কোনো কোনো বিধানের পৌরাণিক প্রমাণ দিতে পারেননি। তাকে তিনি বলেছেন আচার–দেশাচার বা কুলাচার। আচার তাকেই বলে যা, দেশে বা বংশে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। স্মৃতিশাস্ত্রের ধর্ম: যা কিছু পুরনো, সে পৌরাণিকই হোক আর আচারগতই হোক, তাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং নতুনকে খারিজ করা। স্মার্ত রঘুনন্দনের দেওয়া স্বীকৃতির বহর দেখলে মনে হয়, দুর্গাপূজার যাবতীয় রীতিনীতি বহু বছর আগে থেকেই বাংলায় প্রচলিত ছিল। সম্ভবত, প্রাচীন দুর্গাপূজাকে রঘুনন্দন তাঁর গ্রন্থের মাধ্যমে একটি সুসংবদ্ধ রূপ দিয়েছিলেন। সেই কীর্তিই নতুন করে এই পূজার প্রতি বাঙালির দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কালক্রমে ঘটনাচক্রে তা বাঙালি হিন্দুর জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়। মনে রাখতে হবে, কংসনারায়ণের বংশে প্রথম দুর্গাপূজার বাসনা প্রকাশ করেছিলেন তাঁর ঠাকুরদা উদয়নারায়ণ। সে ছিল ১৫৮০ খ্রিস্টাব্দ। রঘুনন্দন তখন বাঙালি হিন্দুসমাজের অন্যতম প্রতীক।

কৃত্তিবাস ওঝার রামায়ণেও ফলাও করে রামচন্দ্রের দুর্গোৎসবের বিবরণ পাওয়া যায়। এই বিবরণ মূল বাল্মীকি রামায়ণে নেই। কৃত্তিবাস তা সংগ্রহ করেছিলেন দেবীভাগবতকালিকা পুরাণ থেকে। কিন্তু রামচন্দ্রের জীবনবৃত্তান্ত লিখতে গিয়ে বৈষ্ণব কবি কেন তাকালেন দুই শাক্ত পুরাণের দিকে? উত্তর পাওয়া যাবে, কৃত্তিবাসী রামায়ণের একটি প্রবণতার মধ্যে–রামায়ণের চরিত্রদের বেশভূষায়, খাদ্যাভ্যাসে, স্বভাবে কৃত্তিবাস করে তুলেছিলেন বাঙালি। তাই হয়ত রঘুবীরকে দিয়ে তাঁর ‘নয়ন-ভুলানো’কে ডাকিয়েছিলেন। কৃত্তিবাস পঞ্চদশ শতাব্দীর মানুষ–জন্ম তাঁর কংসনারায়ণের বহু আগে।

স্মার্ত রঘুনন্দনকেও আমরা দুর্গাপূজার প্রথম বিধানদাতা বলতে পারি না। একাদশ শতাব্দীর বাঙালি পণ্ডিত ভবদেব ভট্ট দুর্গার মাটির মূর্তি পূজার বিধান দিয়েছেন। বিধান দিতে তিনি উল্লেখ করেছেন তাঁরও চেয়েও প্রাচীন কয়েকজন স্মৃতিকারের নাম। চর্তুদশ শতাব্দীর দুজন পণ্ডিত দুর্গাপূজার পদ্ধতি উল্লেখ করেছেন। একজন মিথিলার কবি বিদ্যাপতি। তাঁর লেখা বইটির নাম ‘দুর্গাভক্তি-তরঙ্গিনী’। অপর জন বাঙালি পণ্ডিত শূলপাণি। তাঁর বইটির নাম ‘দুর্গোৎসব-বিবেক’। অর্থাৎ, চতুর্দশ শতাব্দীতেই বাংলায় দুর্গাপূজা ছিল রীতিমতো ‘উৎসব’।

বাংলার অন্যতম প্রাচীন দুর্গাপূজা হল বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের মৃন্ময়ী মন্দিরের পূজা। দেবী মৃণ্ময়ী ছিলেন মল্লভূম রাজ্যের রাজরাজেশ্বরী–মল্ল রাজবংশের কুলদেবী। মল্লরাজ জগৎমল্ল ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে এই পূজার প্রবর্তন করেন। এখানকার পূজাপদ্ধতি বাংলায় প্রচলিত দুর্গাপূজার থেকে অনেকটাই আলাদা; কিছুটা আলাদা এখানকার দুর্গাপ্রতিমার গড়নও। মৃন্ময়ী দেবী সপরিবারা বটে, কিন্তু লক্ষ্মী-গণেশ ও কার্তিক-সরস্বতী এখানে স্থানবদল করে থাকে। অর্থাৎ, লক্ষ্মীর স্থলে গণেশ ও গণেশের স্থলে লক্ষ্মী এবং কার্তিকের স্থলে সরস্বতী ও সরস্বতীর স্থলে কার্তিক। এই রূপে দুর্গাপ্রতিমা নির্মাণের রীতিকে জগৎমল্ল-প্রথা বলা হয়। বাঁকুড়া জেলার অনেক প্রাচীন পরিবারেও জগৎমল্ল-প্রথায় নির্মিত দুর্গামূর্তি পূজিত হয়। মল্ল রাজবাড়ির পূজায় দেবীপটের যে ব্যবহার লক্ষিত হয়, তা অনেকটাই স্বতন্ত্র প্রকৃতির। বাংলার সাধারণ দুর্গাপূজায় এমন পটের ব্যবহার দেখা যায় না। এই পূজাও কংসনারায়ণ প্রবর্তিত পূজার অনেক আগে প্রচলন লাভ করে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর প্রধান শিষ্য নিত্যানন্দ খড়দহে স্বগৃহে প্রতিমায় দুর্গোৎসব করেছিলেন। সেও কংসনারায়ণের বহু আগে।

প্রাচীন দুর্গাপূজার এত নিদর্শন থাকা সত্ত্বেও কিভাবে কংসনারায়ণী মিথের উদ্ভব হল? মনে রাখতে হবে, কংসনারায়ণ দুর্গোৎসব করেছিলেন রাজসূয় ও অশ্বমেধ যজ্ঞের বিকল্প হিসেবে। সে যুগের বাজারে দুর্গাপূজা করতে তিনি খরচ করেছিলেন আট লক্ষ টাকা। এবং বাংলার প্রাচীন জমিদার বাড়ির দুর্গাপূজাগুলিও সব কংসনারায়ণের পূজার পরপরই প্রবর্তিত হয় এবং কংসনারায়ণ-প্রদর্শিত পথে সাড়ম্বরে পালিত হতে থাকে। নদিয়ার ভবানন্দ মজুমদার, বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী, কোচবিহার রাজবাড়ি সর্বত্রই ষোড়শ-সপ্তদশ শতাব্দীতেই দুর্গোৎসবের সূচনা। খুব সম্ভবত, দুর্গাপূজার শাস্ত্রীয় রূপটি ছাপিয়ে আড়ম্বরের চাকচিক্যটাই বড়ো হয়ে ধরা দেয় মানুষের মনে। আর তা থেকেই কংসনারায়ণকে দুর্গাপূজার প্রবর্তকের স্বীকৃতি দেওয়ার ভুল প্রবণতাটির সৃষ্টি হয়।

কারো কারো ধারণা, জমিদার বাড়ির প্রাঙ্গন থেকেই দুর্গাপূজা হয়েছে বাঙালির জাতীয় উৎসব। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। বৈদিক শারদ যজ্ঞ ছিল সর্বজনীন এক ধর্মানুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানই যুগে যুগে নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আধুনিক চার-দিনের দুর্গোৎসবে পরিণত হয়েছে। স্মার্ত পণ্ডিতদের লেখা থেকে দুর্গাপূজার যে সুপ্রাচীন দেশাচার ও লোকাচারের কথা জানা যায়, তাই প্রমাণ করে এই উৎসব আদতে ছিল বাঙালির মাটির উৎস। শাক্ত কবির আগমনী-বিজয়ায় যে মাটির সুর বাজে, তাতে জমিদারগৃহের বাইজি নাচের নূপুরধ্বনি শোনা যায় না, শোনা যায় মাথার উপর খড়ের চাল বয়ে চলা বঙ্গজীবনের প্রাণের আশা-আকাঙ্খার কথা। এই সুর আবহমান। রবীন্দ্রনাথ তাই তাঁর গানে বাঙালি জাতির হাজার বছরের হৃদয়ে লালিত প্রাণের কথাটিই লিখেছিলেন–

শস্যক্ষেতের সোনার গানে        যোগ দে রে আজ সমান তানে,

ভাসিয়ে দে সুর ভরা নদীর অমল জলধারে।

যে এসেছে তাহার মুখে             দেখ্ রে চেয়ে গভীর সুখে,

দুয়ার খুলে তাহার সাথে বাহির হয়ে যা রে।।

শরতে আজ কোন্ অতিথি এল প্রাণের দ্বারে।

আনন্দগান গা রে হৃদয়,           আনন্দগান গা রে।।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার–

১। পূজা-পার্বণ, যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি, বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ, কলকাতা।

২। Durga Puja: Yesterday, Today & Tomorrow, Sudeshna Banerjee, Rupa & Co.,New Delhi.

৩। মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা, দেব সাহিত্য কুটির সম্পাদনা, দেব সাহিত্য কুটির, কলকাতা।

৪। পূজাবিজ্ঞান, স্বামী প্রমেয়ানন্দ, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা।

৫। সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস, ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ, কলকাতা।

 
22 টি মন্তব্য

Posted by চালু করুন সেপ্টেম্বর 20, 2011 in পুরনো লেখা

 

ট্যাগ সমুহঃ

22 responses to “বাঙালির দুর্গাপূজা ঠিক কতটা প্রাচীন?

  1. ghanada1

    সেপ্টেম্বর 22, 2011 at 1:31 অপরাহ্ন

    বড় ভালো লিখেছ হে অর্ণব। কিন্তু, এসব পড়ার লোক কই আজকাল?

     
    • অর্ণব দত্ত

      সেপ্টেম্বর 22, 2011 at 9:04 অপরাহ্ন

      সে থাকুক আর নাই থাকুক; আমার লিখে আনন্দ, তাই লিখি। তবে আমার ধারণা, পড়ার লোক দু-একটা হলেও ঠিক জুটে যায়। যেমন আপনি।

       
      • Rony Parvej

        সেপ্টেম্বর 23, 2011 at 2:19 অপরাহ্ন

        আপনার ধারণা ঠিক। আমিও জুটে গেলাম।

         
  2. অর্ণব দত্ত

    সেপ্টেম্বর 23, 2011 at 2:45 অপরাহ্ন

    ধন্যবাদ, রনি। 😀

     
  3. Indranil modak

    সেপ্টেম্বর 7, 2012 at 4:22 পুর্বাহ্ন

    কমপিউটার’এ বাংলা লেখা খুব পরিশ্রম সাধ্য কাজ। অর্ণববাবু যা লিখছেন তা অতীব ভালো কাজ। আপনার ব্লগটা প্রথম আমি ফেসবুক এ পাই, তারপর তেকেই সময় করে পড়ি আর বুকমার্ক ও করেছি আপনার ব্লগটাকে। কথায় আছে ,

    “ভবিষ্যতকে শুধুমাত্র সেই নিজের করে নিতে পারে
    যে তার স্বপ্নের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখে।”

     
    • অর্ণব দত্ত

      সেপ্টেম্বর 8, 2012 at 1:01 অপরাহ্ন

      আমাকে বাবু-টাবু বলবেন না। ওতেও আমি “নজ্জা” পাই। আপনি আমার লেখা অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন।

       
  4. তমাল নাগ

    সেপ্টেম্বর 23, 2012 at 10:02 পুর্বাহ্ন

    দাদা, আমি বাংলাদেশে থাকি, গুগলে খুজতে খুজতে হটাত করেই আপনার ব্লগ টা পেয়ে গেলাম। আমি সাহিত্য খুব ভাল বাসি। দুর্গা পুজা এবং সনাতন ধর্ম নিয়ে কিছু বাংলাদেশি মানুষের নানা অপ্প্রাচার দেখতে দেখতে অস্থির হয়ে গিয়েছি । খুব খারাপ লাগে সবসময় অই লেখা গুলো দেখতে । এই লেখাতার খুব দরকার ছিল।।আপনার এই লেখাতি আসলেই সুন্দর। আসল সত্য গুলো জানতে পারলাম। লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমি আপানকে ফেসবুকে খুজেছি কিন্তু পাচ্ছি না। আমি কি আপনার বন্ধু হতে পারি। আমার ফেসবুক, https://www.facebook.com/tamal.tans । আপনার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।

     
    • অর্ণব দত্ত

      সেপ্টেম্বর 23, 2012 at 11:59 পুর্বাহ্ন

      এমন অপপ্রচার আমিও দেখেছি ইন্টারনেটে। বস্তুত দুর্গাপূজা-সংক্রান্ত কয়েকটি লেখার তাগিদ অনুভব করেছিলাম ওই সব লেখা পড়েই। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, কেউ আক্রমণ করলে, বাকযুদ্ধে না গিয়ে প্রকৃত তথ্য ও সত্য উদ্ঘাটিত করে দিলেই যুদ্ধজয় সম্ভব। অপপ্রচারকারীরা আমাকে মাঝে মাঝে গালাগালি দিয়ে মেইল করে। সেটাকে আমি হিন্দুধর্মের জয় হিসেবেই দেখি। আপনাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি। অ্যাকসেপ্ট করবেন। আর আমার এই ব্লগ ও লেখাগুলি আপনার ভাল লেগেছে শুনে আমি যার-পর-নাই আনন্দ পেয়েছি। জগজ্জননীর কাছে প্রার্থনা করবেন, যাতে আমি সারাজীবনই এইভাবে হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে যাবতীয় অপবাদ দূর করার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারি।

       
  5. তমাল নাগ

    সেপ্টেম্বর 23, 2012 at 7:12 অপরাহ্ন

    দাদা আমি আপনার সাথে একমত, কিন্তু তারা আসলে যুক্তির ধার ধারে না। তারা অই গুলো লেখে নানা নিক থেকে।লেখা গুলো লেখাই হয় টিটকারি মারার জন্য ।আমাকেও গালাগালি করা হয়েছে। এমন কি নানা রকম ভয় ও দেখান হয়েছে। আমিও সারা জীবন বাংলা সাহিত্য ও হিন্দু ধর্মের জন্য লড়াই করে যেতে চাই। তবু গুগলে দুর্গা পুজা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বা হিন্দু লিখে সার্চ দিলে যখন এক গাদা বিদ্বেষ ভরা লেখা সামনে চলে আসে তখন খারাপ লাগে। আমি পরীক্ষার পরে শুরু করব লেখালেখি, আদেরকে থামাতে হলে আসল সত্য টা সামনে নিয়ে আস্তে হবে। এর জন্য দরকার প্রচুর তথ্য কারন বাংলায় হিন্দু ধর্মের বেশি কিছু নেই, এই কাজ টা আগে করতে হবে। অনেক টা লিখে ফেললাম। আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ। আপনি আমার ভার্চুয়াল জগতে পরিচয় হওয়া একজন সেরা বন্ধু। ভাল থাকবেন। আরও ভাল ভাল লেখা আসা করছি।

     
    • অর্ণব দত্ত

      সেপ্টেম্বর 23, 2012 at 7:30 অপরাহ্ন

      আমি আমার ব্লগে যতটুকু সাধ্য করছি। জগজ্জননীর কৃপায় আর কিছুদিন পর আর গুগুল সার্চ করলেই হিন্দুধর্ম সম্পর্কে রাবিশগুলো পড়তে হবে না আশা করি। তোমরাও (তুমি করেই বলছি) এক-একটা ব্লগ করে কিছু কিছু লেখা লিখতে লেগে পড়ো। আমার থেকে সবরকম সাহায্য পাবে।

       
      • অর্ণব দত্ত

        সেপ্টেম্বর 23, 2012 at 9:27 অপরাহ্ন

        গত বছর গুগলে দুর্গাপূজা নিয়ে সার্চ করতে গিয়ে দেখি, অনেকেই দুর্গাপূজাকে জমিদারবাড়ির উৎসব বলে গাল পেড়েছেন। কেন, না জমিদারবাবুরা দুর্গাপূজা করতেন? তবে পয়লা বৈশাখে পাঞ্জাবি পরেন কেন? জমিদারবাবুরাও তো পয়লা বৈশাখে পাঞ্জাবি পরতেন!!! ভাত খান কেন? জমিদারবাবুরা তো ভাত খেতেন!!!!! সে যাই হোক, দুর্গাপূজা যে বাঙালির লোক উৎসবেরই একটা পরিবর্তিত রূপ, সেকথা বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ থেকে আমি নিশ্চিত ছিলাম। বইপত্র ঘেঁটে দেখলাম, জমিদারবাবুরা শুধু একটা লৌকিক উৎসবকে জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলেছিলেন। আর কিছুই নয়। তার উপর বিগত এক বছর আরও নানা বই ঘেঁটে জেনেছি, দুর্গাপূজার ওইরকম জাঁকজমকপূর্ণ রূপ ছাড়াও, সাধারণ মানুষের ব্যয়সাধ্য রূপও আছে। সেসব নিয়েও পরে লেখার ইচ্ছে আছে। এখন সবই গুরুদেবের কৃপা ও শ্রীশ্রীঠাকুরের ইচ্ছা।

         
    • অর্ণব দত্ত

      সেপ্টেম্বর 23, 2012 at 9:32 অপরাহ্ন

      তবে ওরা যদি যুক্তির ধার না ধরে তো ওদের লেখা কালের গর্ভে হারিয়ে যাবে। না হারাক, আমাদের হাসির খোরাক হবে। বেদে নাকি মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ- এমন একটা আর্টিকল সেদিন পড়লাম। সংস্কৃত কোটেশন দেখে হাসতে হাসতে আমার পেটে খিল! এক মুসলমান বন্ধু লেখাটার তাঁবেদারি করে জাকির নায়েক না কার বই দেখে দু-একটা কোটেশন উদ্ধার করে দিল। যজুর্বেদের কোটেশন। তাকে যজুর্বেদ খুলে দেখিয়ে দিলাম, আসলে কী লেখা আছে। আর এই নিয়ে সে দ্বিতীয়বার উচ্চবাচ্য করেনি!!!!

       
  6. তমাল নাগ

    সেপ্টেম্বর 24, 2012 at 9:12 পুর্বাহ্ন

    আমি পনার থেকে অনেক ছোট। আমাকে তুমি বললেই খুশি হব। আমার অনেক কিছুই করার ইচ্ছা আছে। আমি মোটামুটি ওয়েব developing পারি। আমি আমার পরীক্ষার পরে একটা নিজস্ব .com ডোমেইন এবং একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে লেখালেখি শুরু করব। তখন আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করতে হবে। আর তাদের একমাত্র ভরসাই হল জাকির নায়েক। তারা যা বলে সবি উনার কাচ থেকে ধার করা। আর তাদের উৎস সম্পর্কে বলার দরকার আছে বলে মনে করি না। তারা জীবনে বেদ দেখেছে কিনা জানি না। দাদা আপনাকে একটা কাজ করতে হবে, হিন্দু ধর্মের কিছু বই এর PDF বানাতে হবে। বাংলায় এইসব বই পাওয়া যায় না বললেই চলে।
    আমি আর বেশ কিছুদিন ( প্রায় দের বসর) নেটে সময় দিতে পারব না। পরীক্ষা আর ভর্তি। জগজ্জননী আপনাকে ভাল রাখুক, আপনি অনেক কিছু লিখুন, আমি আসা করি আগামাই দুই বসর আমারা সুস্থ থাকব, সামনে অনেক কাজ আছে।

     
    • অর্ণব দত্ত

      সেপ্টেম্বর 24, 2012 at 1:58 অপরাহ্ন

      আর বই বলতে আমার প্রথমেই মনে হয়, বেদ-উপনিষদ্‌, গীতা সহ আমাদের প্রধান প্রধান ধর্মগ্রন্থগুলির সহজবোধ্য বাংলা অনুবাদ করে দেওয়া উচিত। অপবাদদাতাদের মুখ বন্ধ হবে, সাধারণ হিন্দুধর্মাবলম্বীদেরও সুবিধা হবে। তোমাদের দেশের হিন্দুধর্মশিক্ষা বইগুলি খুব সুন্দর। রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্বোধন পত্রিকায় ওই বইগুলির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা দেখে আমি ওই বইগুলি সংগ্রহ করি। ওই বইগুলিকে আদর্শ করে হিন্দু ধর্মশিক্ষার উপর বই লেখারও ইচ্ছে আছে আমার। এতেও অনেকে উপকৃত হবেন।

       
  7. তমাল নাগ

    সেপ্টেম্বর 24, 2012 at 9:14 পুর্বাহ্ন

    * আমার বাংলা টাইপিং ভাল না, কিছু ভুল থেকে গেলো জন্য দুঃখিত।

     
    • অর্ণব দত্ত

      সেপ্টেম্বর 24, 2012 at 1:53 অপরাহ্ন

      চিন্তা করো না। পিডিএফ বই বানানো, লেখালিখি ও তথ্য আদানপ্রদানে আমি তোমাকে সর্বতোভাবে সাহায্য করব। তুমি পরীক্ষা দাও এবং অবসর সময়ে ধর্মগ্রন্থ ইত্যাদি নিয়ে পড়াশোনা একটু একটু করতে থাকো। তারপর ওয়েবসাইট করো, তাহলে কোনো সমস্যাই হবে না।

       
  8. পিনাকী

    সেপ্টেম্বর 28, 2012 at 4:21 অপরাহ্ন

    অর্ণববাবু, আপনার লেখা এককথায় অতূলনীয়। এত সুপাঠ্য লেখা বহুদিন পড়ি নি। আপনার লেখার বিষয়ে একটি তথ্য অতিরিক্ত ভাবে তুলে ধরতে চাই।

    কংসনারয়ণের দুর্গা পূজা হয়েছিল নাকি ১৫৩৮ খ্রীষ্টাব্দে। এই বিষয়ে একটি সংবাদ হুবহু ছাপানো হয়েছে শ্রী প্রজ্ঞানানন্দের লেখা মহিষাসুরমর্দিনী : শাস্ত্রীয়, ঐতিহাসিক ও মূর্তিতত্ত্ব (উদ্বোধন প্রেস) বইটিতে।

    মজার কথা হল, দুর্গাপুজোর উদ্ভব বলতে যে সময়ের কথা বলা হয়েছে তা ষোড়শ শতাব্দী তো বটেই শ্রীচৈতন্যদেবের মৃত্যু (রবিবার ২৭শে এপ্রিল ১৫৩৩ খ্রীষ্টাব্দ)-র অবহিত পরের একটি সময়। তাহলে কি এটি অনুমান করে নেওয়া যেতে পারে যে চৈতন্যদেবের প্রভাব তাঁর জীবদ্দশাতেই হ্রাস পেতে শুরু করেছিল? চৈতন্যদেবের সাথে তাঁর গৌড়ীয় ভক্তদের বিরোধ শুরু হয়েছিল আনুমানিক ১৫৩০ খ্রীষ্টাব্দ থেকেই যার ফলে, পুরীতে তাঁর মৃত্যুর আগে কোনো গৌড়ীয় ভক্ত উপস্থিত ছিলেন না (সূত্র – জয়ানন্দ রচিত চৈতন্য জীবনী ও মাধব পট্টিনায়ক রচিত চৈতন্যমঙ্গল)।

    আর বৈষ্ণব ধর্মের দুঃসময়েই শাক্ত ধর্মাবলম্বীদের এই পুনরুত্থান কি?

     
    • অর্ণব দত্ত

      সেপ্টেম্বর 29, 2012 at 1:14 অপরাহ্ন

      দুর্গাপূজার শুরু কংসনারায়ণ বা মহাপ্রভুর বহু আগে থেকেই বঙ্গদেশে প্রচলিত ছিল। কারণ, দুর্গাপূজার বিধিবিধানগুলির অনেকগুলিই এঁদের জন্মের আগে লেখা। দুর্গাপূজা বৈষ্ণব-শাক্ত-শৈব সকল সম্প্রদায়, ব্রাহ্মণ-শূদ্র সকল জাতিই করতে পারে, একথা শাস্ত্রেই আছে। সুতরাং দুর্গাপূজাকে শাক্ত অনুষ্ঠান বলা সমীচীন নয়। বিশেষত, বৈষ্ণব শাস্ত্রে দুর্গাকে ‘বিষ্ণুভক্তিপ্রদায়িনী’ ও ‘কৃষ্ণভগিনী’ বলা হয়। শাক্তরা তাঁকে ‘বিষ্ণুমায়া’ ও ‘নন্দগোপের কন্যা’ মনে করেন। শৈবমতে, তিনিই শিবানী। শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানানন্দজী মহারাজ তাঁর মহিষাসুরমর্দিনী-দুর্গা বইতে (রামকৃষ্ণ বেদান্ত মঠ প্রকাশিত) এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

      চৈতন্য মহাপ্রভুর সঙ্গে তাঁর গৌড়ীয় ভক্তদের বিরোধের ইতিবৃত্ত আমার সঠিক জানা নেই। আমি নিজে ব্যক্তিগত ও বংশগতভাবে শাক্ত হলেও মহাপ্রভুর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাবান। গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের প্রতিও আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রাখি। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মহাপ্রভুর মৃত্যুর পর গৌড়ীয় বৈষ্ণবসমাজে কিছু অবক্ষয় দেখা দেয়। এই অবক্ষয়ের চূড়ান্ত রূপটি সপ্তদশ শতকে সামনে আসে। শাক্ত মতবাদ এই সময় জনপ্রিয়তা পায়। তবে তার মানে এই নয় যে শাক্ত মতবাদ ভুঁইফোঁড় বা রাজা কংসনারায়ণ ও তাঁর পরিষদবর্গের মস্তিস্কপ্রসূত। প্রকৃতপক্ষে শক্তিবাদকে তান্ত্রিক সাধকরা ব্যক্তিগত সাধনার স্তরে রেখে দিয়েছিলেন। বৈষ্ণবরা যেমন নিজ মত আদ্বিজচণ্ডালে প্রচার করতেন, শাক্তরা আগে সেইরকম কিছু করতেন না। নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় জনসমাজে শক্তিবাদ প্রচারে উদ্যোগী হন। শুনেছি, তাঁর অর্থসাহায্যে নদিয়ায় ১০,০০০ বাড়িতে কালীপূজা শুরু হয়েছিল। বৈষ্ণবসমাজের কোনো কোনো শাখায় কিছু কিছু অনাচার শুরু হওয়ায় সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ শুদ্ধ মাতৃভাবে শক্তিসাধনাকে শ্রেয় মনে করতে শুরু করে। একে আপনি শাক্ত অভ্যুত্থান বলতেই পারেন। তবে দুর্গাপূজার সঙ্গে এর বিশেষ সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না। দুর্গাপূজা সম্পর্কে সকল জাতি ও সকল সম্প্রদায়ই শ্রদ্ধার ভাব পোষণ করতেন। শুধু এক এক সম্প্রদায় তাঁদের নিজ নিজ প্রথা মেনে দুর্গাপূজা করেন।

       
  9. পিনাকী

    অক্টোবর 4, 2012 at 3:53 অপরাহ্ন

    আপনার ব্যাখ্যার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আমি আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখলাম।

     
  10. অতনু করঞ্জাই

    অক্টোবর 22, 2012 at 9:01 পুর্বাহ্ন

    ব্লগ খুলবো কী করে? অনেকবার চেষ্টা করে ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়েছি।

     
    • অর্ণব দত্ত

      অক্টোবর 22, 2012 at 3:27 অপরাহ্ন

      ওয়ার্ডপ্রেসের হেল্প অপশন থেকে আপনি সাহায্য পেয়ে যাবেন। খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি সাইট। আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে মেইল-আইডি খোলার মতো করে সাইন আপ করতে হয়। একটু সময় দিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে, আপনিই শিখে যাবেন। শারদীয়া উৎসবের শুভেচ্ছা জানবেন।

       
  11. Sanjib Singha Bera

    জুন 20, 2017 at 7:58 অপরাহ্ন

    খুব সুন্দর লেখা, মা দুর্গার আরাধনা নিয়ে এই ইতিহাস জেনে খুব ভালো লাগলো।
    এত সুন্দর লেখার জন্যে ধন্যবাদ।

     

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান