দ্বিতীয় দৃশ্য
লিওন্যাটো ও অ্যান্টোনিওর প্রবেশ
লিওন্যাটো। দাদা, আমার ভাইপো, মানে তোমার ছেলে কই? সে কি গানবাজনার ব্যবস্থা করেছে?
অ্যান্টোনিও। সেকাজেই গেছে। কিন্তু ভাই, এদিকে একটা অদ্ভুত খবর পেলাম।
লিওন্যাটো। ভাল খবর?
অ্যান্টোনিও। ভাল খবর বলেই তো মনে হল। মহামান্য রাজকুমার ও ক্লডিও যখন কুঞ্জবিতানে বাক্যালাপ করছিলেন, সেই সময় আমার এক ভৃত্য তাদের কথা শোনার জন্য আড়ি পাতে। রাজকুমার বলছিলেন, তিনি নাকি ভাইঝি, মানে তোমার মেয়ে হিরোকে ভালবাসেন। আজ রাতের নৃত্যোৎসবে তিনি হিরোকে প্রেম নিবেদন করতে চলেছেন। হিরো রাজি হলে, তিনি শীঘ্রই তোমার কাছে হিরোর পাণিপ্রার্থী হয়ে আসবেন।
লিওন্যাটো। তোমার ওই ভৃত্যটির বুদ্ধিশুদ্ধি এমনিতে কেমন?
অ্যান্টোনিও। বেশ চৌকশ ছেলে। ডাকব নাকি? তুমি নিজেই একবার জিজ্ঞাসা করে নেবে?
লিওন্যাটো। না, থাক। তার দরকার নেই। যতক্ষণ না ব্যাপারটা সত্যি বলে প্রমাণিত হয়, ততক্ষণ আমরা এমন ভান করব যেন এটা শুধুই আমাদের স্বপ্ন। তবে আমার মেয়েকে আগে থেকে জানিয়ে রাখা ভাল, যাতে সে একটা জুতসই জবাব তৈরি করে রাখতে পারে। যাও আমার হয়ে খবরটা তাকে জানিয়ে এসো।
এক গাইয়ে ও তাঁর বাজিয়েদের দল নিয়ে অ্যান্টোনিওর পুত্রের প্রবেশ
এই যে ভাইপো, এসো, তোমাদের এখন অনেক কাজ। – ওহো, মাপ করবে। আমার সঙ্গে এসো। একটু সাহায্য করো দেখি। – ভাইপো, এই ব্যস্ততার সময় একটু সতর্ক থেকো, সোনা আমার।