বাংলা সাহিত্যে চৈতন্য মহাপ্রভুর অবদান কী? সহজ উত্তর – কিছুই না। চৈতন্য মহাপ্রভু বাংলা ভাষায় এক পংক্তিও রচনা করেননি। কেবল সংস্কৃতে দু-একটি স্তব-স্তোত্র রচনা করেছিলেন। কিন্তু তবুও মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান সোনার মূল্যে তুলিত হওয়ার যোগ্য। তাঁর যুগান্তকারী আবির্ভাবের ফলে বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতিতে যে নবজাগরণ দেখা দিয়েছিল, তা সুনিশ্চিতভাবেই বাংলা সাহিত্যের গতিপথকেও প্রভাবিত করে।
এই প্রভাব আলোচনার পূর্বে সমকালীন যুগ-পরিবেশে চৈতন্য-সংস্কৃতির একটি রূপরেখা আলোচনা করে নেওয়া প্রয়োজন।
চৈতন্য সংস্কৃতি
চৈতন্য মহাপ্রভুর (১৪৮৬-১৫৩৩) প্রভাবকাল মধ্যযুগের বাংলা ও বাংলা সাহিত্যের এক গৌরবময় অধ্যায়। মধ্যযুগে বাঙালির জাতীয় জীবনে যে নবযুগের লক্ষণ দেখা দিয়েছিল, তা সম্ভব হয় চৈতন্যদেবের প্রভাবেই। বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক পটভূমিতে এই চৈতন্য সংস্কৃতি মুহ্যমান বাঙালিকে নতুন চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। চৈতন্য-প্রবর্তিত আন্দোলন ধর্মভিত্তিক হলেও এর ব্যাপক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য ছিল। সে কারণেই বাঙালির দীর্ঘকালীন মুর্ছাভঙ্গ ও নবচেতনা সঞ্চারের কাল হিসেবীই পর্যায়কে অভিহিত করা চলে।
প্রতিষ্ঠাপর্বে বাঙালি সংস্কৃতির দু’টি ধারার যে মিলন ঘটেছিল, এখানে তা কোমল ও ললিত ভাবধারায় সঞ্জীবিত হয়। প্রেম ও ভক্তির ভাবরসপ্রবাহে বাঙালি নিজের মুক্তিমন্ত্র শুনতে পায়। অন্যদিকে, রাজশক্তি হারিয়ে বাঙালি যে হীনমন্যতায় ভুগছিল, সে অবস্থার মৌলিক পরিবর্তন না ঘটলেও, ভাবের দিক থেকে চৈতন্য মহাপ্রভু বাঙালিকে উদ্ধার করেন।
আর এই কারণেই চৈতন্য প্রবর্তিত এই ধর্ম আন্দোলন একটা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনও বটে। এই আন্দোলনের ফলে বাঙালি জাতি তার আত্মসম্মান ফিরে পায়। পরাজিতের মনোভাব থেকে মুক্তি আর চিত্তের গভীর ভাবপ্রবণতায় নতুন মূল্যবোধের অনুসন্ধান বাঙালির সংস্কৃতি চর্চায় গভীর প্রভাব বিস্তার করে। রচনার প্রাচুর্য ও উৎকর্ষে বাংলা সাহিত্যের নব নব দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
বাংলা সাহিত্যে চৈতন্য-প্রভাব
চৈতন্য সংস্কৃতি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে ভাব ও রূপের বিশেষ পরিবর্তন সাধন করেছিল। এই পরিবর্তনের দু’টি প্রধান দিক বিদ্যমান – প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ। প্রত্যক্ষ প্রভাবের আবার দু’টি উপধারা বিদ্যমান – বৈষ্ণব পদাবলির গৌরচন্দ্রিকা ও গৌরপদাবলি ধারা এবং চৈতন্যজীবনী সাহিত্য। চৈতন্য সংস্কৃতির পরোক্ষ প্রভাব দেখা যায় চণ্ডীমঙ্গল, মনসামঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল ধারার মঙ্গলকাব্য, রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবত অনুবাদ সাহিত্য, শাক্ত পদাবলি ও লোকসাহিত্যে।
# প্রত্যক্ষ প্রভাব
## বৈষ্ণব পদাবলি
চৈতন্য আবির্ভাবে যে ভাববিপ্লব এসেছিল, তার গভীর ছাপ পড়েছিল বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যে। প্রাক-চৈতন্যযুগে মানব-মানবীর পার্থিব প্রেমই ছিল রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলির মূল ভিত্তি। কিন্তু চৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাবের পর পার্থিব মানব-মানবীর প্রেম পরিণত হয় অপার্থিক রাধাকৃষ্ণ লীলায়। নব জন্মান্তর ঘটে সমগ্র পদাবলি সাহিত্যের। শুধু তাই নয় ‘গৌরচন্দ্র’ অর্থাৎ স্বয়ং মহাপ্রভুকে নিয়েও রচিত হয় পদাবলির দু’টি বিশেষ শাখা – ‘গৌরচন্দ্রিকা’ ও ‘গৌরপদাবলি’ বা ‘গৌরাঙ্গ-বিষয়ক পদ’। এই পদগুলি বৈষ্ণব সাহিত্যের নবতর সংযোজন। তাই এককথায় চৈতন্য প্রভাবে পদাবলি সাহিত্যে এক ব্যাপকতর ও সূক্ষ্মতর পরিবর্তন দেখা যায়।
## চৈতন্যজীবনী
চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রত্যক্ষ ও সুপরিণত রূপ জীবনীসাহিত্যের মধ্যেই বিকশিত। তাঁর দেবোপম চরিত্রকে ঘিরে বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম জীবনীসাহিত্য গড়ে ওঠে। সুতরাং নবতর সংযোজনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সাহিত্যের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। বৃন্দাবন দাস তাঁর ‘চৈতন্যভাগবত’ গ্রন্থের মাধ্যমে এই নতুন পথের দ্বার উদ্ঘাটন করেন। পরবর্তীকালে কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘চৈতন্যচরিতামৃত’, লোচনদাসের ‘চৈতন্যমঙ্গল’, জয়ানন্দের ‘চৈতন্যমঙ্গল’ প্রভৃতি চরিতসাহিত্যের এই শাখাটিকে সমৃদ্ধতর করে। জীবনীসাহিত্যের এই যে উদ্বোধন, তা পরবর্তীকালেও নব নব আঙ্গিকে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।
# পরোক্ষ প্রভাব
## মঙ্গলকাব্য
প্রাক-চৈতন্য যুগে মঙ্গলকাব্যের মনসা, চণ্ডী প্রভৃতি দেবদেবীর চরিত্রগত সংকীর্ণতা, হিংস্রতা, নিষ্ঠুরতা ও স্বার্থপরতা চৈতন্যোত্তর পর্বে অনেকটাই হ্রাস পেয়ে এক স্নিগ্ধ দৈব মহিমায় প্রতিষ্ঠিত হয়। চৈতনোত্তর যুগের কবি দ্বিজ বংশীদাসের মনসামঙ্গলে মনসা চরিত্রে উগ্রমূর্তির পরিবর্তে স্নেহ ও প্রীতির স্পর্শ লাগে। চণ্ডীমঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবিদ্বয় মুকুন্দ চক্রবর্তী ও দ্বিজ মাধবের হাতেও প্রতিহিংসাপরায়ণা চণ্ডীর রূপান্তর ঘটে জননী অভয়ায়। কাব্যের প্রতি ক্ষেত্রেই ধ্বনিত হতে থাকে এক মানবিক সুর। ধর্মমঙ্গল কাব্যেও ধর্মঠাকুরের ক্ষমাসুন্দর রূপটি ফুটে ওঠে চৈতন্য-প্রভাবিত প্রেমের কোমলতার স্পর্শে।
## অনুবাদ সাহিত্য
মঙ্গলকাব্যের মতোই অনুবাদ সাহিত্যেও চৈতন্যপ্রভাব সুস্পষ্ট। ব্যক্তি চৈতন্যদেবের উচ্চ আদর্শই বাঙালি কবিকে অনুরূপ আদর্শ এক চরিত্রের সন্ধানে নিয়োজিত করেছিল। রামায়ণ, মহাভারত, ভাগবতের কবিরা চৈতন্য-প্রভাবিত বৈষ্ণব ভাবধারায় প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং তাঁদের কাব্যের পরিবেশ, চরিত্র ও মৌলিক কাব্যরস সেইমতো নিয়ন্ত্রণ করেন। এর ফলে বঙ্গানূদিত রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবত ইত্যাদির মহাকাব্যিক গরিমা ম্লান হয়ে গেলেও, প্রেম ও ভক্তিরসে জারিত এই কাব্যগুলি বাঙালির গার্হস্থ্য আলেখ্যে পরিণত হয়। কাশীরাম দাসের মহাভারত অনুবাদ তারই এক উজ্জ্বল স্মারক।
# শাক্ত পদাবলি
চৈতন্য মহাপ্রভুর সার্বভৌম প্রভাব ও তাঁর প্রবল ভাবের জোয়ারে শাক্তসাহিত্য তার স্বাতন্ত্র্য সম্পূর্ণ রক্ষা করতে পারেনি। কোনো কোনো সমালোচক মনে করেন, শাক্ত পদাবলির বাৎসল্য রসের পদগুলিতে ও উমাসংগীতে (আগমনী ও বিজয়া গান) চৈতন্য-প্রভাবিত বৈষ্ণব গীতিকবিতার কোমল স্নিগ্ধতা অনুভূত হয়।
# লোকসাহিত্য
বাংলার সুদূর গ্রামাঞ্চলের লোকসংগীতেও চৈতন্য মহাপ্রভুর ভাববিহ্বল দেবোপম জীবনের প্রভাব সুস্পষ্ট। মৈমনসিংহ গীতিকার বিষয়বস্তুতে চৈতন্যদেবের সমন্বয়বাদ ফুটে উঠেছে। শুধু তাই নয়, বাউলের গানে যে ‘মনের মানুষ’-এর অনুসন্ধান রয়েছে, তার মূলেও চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রভাব অস্বীকার করা যায় না।
শেষকথা
চৈতন্য মহাপ্রভুর অলৌকিক পরশপাথরের স্পর্শে বাংলা সাহিত্য নব নব ভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে তাঁর এই প্রভাবের ঐতিহাসিক ফলশ্রুতি সুদূর প্রসারিত। প্রাক-চৈতন্যযুগের সাহিত্যে যে স্থূলতা, কদর্যতা ও গ্রাম্যতা ছিল, তা চৈতন্যপ্রভাবে রুচিসম্মত ও শ্লীল হয়েছে। প্রাক-চৈতন্য পর্বে দেবতার মহিমাকীর্তনই ছিল সাহিত্যের উদ্দেশ্য ও পরিধি। চৈতন্যপ্রভাবে তা ‘দেবতাকে প্রিয় করি প্রিয়রে দেবতা’ হয়েছে। প্রাক-চৈতন্য পর্বের ভক্তিভাবের তুলনায় ঐশ্বর্যভাবের প্রাধান্য ছিল। চৈতন্যপ্রভাবে ভক্তিরস বাংলা সাহিত্যকে আপ্লুত করেছে। প্রকৃতপক্ষে চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রভাবেই বাংলা সাহিত্যে মানবতাবাদের জয় ঘোষিত হয়েছে। চৈতন্যপ্রভাবিত অধ্যাত্মভাব ও জীবনাবেগ সৃষ্টির জন্যই বৈষ্ণব কবিদের হাতে বাংলা ভাষা সূক্ষ্ম অনুভূতি ও বিচিত্রভাব প্রকাশের যোগ্য হয়ে ওঠে।
Debdip Dhibar
মার্চ 10, 2011 at 8:14 পুর্বাহ্ন
এটা কি??????????????
অর্ণব দত্ত
মার্চ 10, 2011 at 2:24 অপরাহ্ন
এটা মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে লেখা একটা নিবন্ধ।
Debdip Dhibar
মার্চ 31, 2011 at 2:42 অপরাহ্ন
বেশ। অপরকে ঠকানো চলে, কিন্তু নিজেকে? নিজেকে ঠকিয়ে আপনি যেটাকে নিবন্ধ বলছেন সেটা হয়ে উঠেছে ১০+ ক্লাসের ‘পাতি-রচনা’। সত্যি কথা আপনার রচনায় দর্শন নেই। কেন?????????
অর্ণব দত্ত
এপ্রিল 4, 2011 at 2:16 অপরাহ্ন
আপনার দু’টি অভিযোগ সত্য। একটি সত্য নয়। যে দু’টি সত্য সে দু’টি হল এটি ক্লাস টেনের পাতি রচনা হয়েছে এবং এতে কোনো দর্শন নেই। যেটি নয়, তা হল আমি লোক-ঠকানোর জন্য এই লেখা লিখেছি। আমার জ্ঞানের সীমা পরিসীমিত। শুধু এই বিষয়ে আমার আগ্রহ আছে বলেই লিখেছি। আমি আমার সাধ্যমতো লিখেছি। এই লেখা এগারো ক্লাসের সাহিত্যের ইতিহাস বই খুলে মনের আনন্দে লিখেছি। বেশ, আপনার কথা মতো এর “নিবন্ধ” আখ্যাটি আমি ফিরিয়ে নিলাম। এটিকে নিছকই “লেখা” বললাম। খুশি তো? কিন্তু সঙ্গে একটি সনির্বন্ধ প্রশ্ন। আপনারা যাঁরা এই বিষয়ে গভীর জ্ঞান রাখেন বা দর্শন নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন, তাঁরা কেন লেখেন না? কেন ইন্টারনেটে “চৈতন্য মহাপ্রভু ও মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য” সার্চ করলে আমার এই অকিঞ্চিৎকর “পাতি রচনা”টা ছাড়া এই বিষয়ে আর কিছু পাওয়া যায় না? এই সব প্রশ্নের উত্তর থাকলে হয়ত, আপনাকেও আমার মতো সামান্য কলমচির ব্লগ পড়ে বিরক্তি উগরাতে হতো না। আমার লেখার আনন্দটাও আমার নিজস্ব থাকত।
যদি ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে থাকি, মাফ করবেন।
dasnc
অক্টোবর 6, 2014 at 11:04 অপরাহ্ন
অর্নব বাবু, দেবদীপ বাবুর কথাগুলি যতোই কর্কস হোক না কেনো আমি আপনাকে বলি হতাশ না হতে। আপনার লেখাটা আমার ভালো লেগেছে। আমি বিশ্বাস করি যে কেউ তো শুরু করেছে একটা বিষয়ের উপরে আলোকপাতের। আবার আপনার লেখাটা ক্লাস টেনের হোলেও মন্দ হয় না কারন পশ্চিম বাংলায় ক্লাস টেন পাস করা লোকও অপ্রতুল নয়। আমাদের দেশে টেন পাস করা মানে শিক্ষিত শ্রেনীর মানুষ। পরিশেষে বলি, শ্রীরামচন্দ্র যখন সাগরে বাঁধ বানাচ্ছিলেন তখন কাঠবেড়ালীরাও তাঁদের লেজে করে বালিকনা এনে সেই বাঁধ বাঁধতে সাহায্য করেছিলো। এই কথায় আমি বলতে চেয়েছি যে বড়ো কোনো কাজে ছোটো ছোটো পদক্ষেপ গুলি মহত্বপূর্ন হয়ে ওঠে। আপনার এই সুন্দর প্রয়াস বাংলা সাহিত্যে এককনা বালি হলেও সাগর বন্ধনের মতন বিশাল কর্ম-কান্ডের একটি অংশ। ধন্যবাদ।।
chandika das
নভেম্বর 9, 2017 at 1:30 অপরাহ্ন
ঠিক বলেছেন ..internet এ search করলে বাংলার অনেক কিছুই পাওয়া যায় না …
Debdip Dhibar
জুলাই 3, 2011 at 8:47 অপরাহ্ন
না আপনি কোনো ‘ঔদ্ধত্য প্রকাশ’ করেন নি । নিজের লেখা সম্পর্কে যা যা বলেছেন (এটি ক্লাস টেনের পাতি রচনা হয়েছে এবং এতে কোনো দর্শন নেই। যেটি নয়, তা হল আমি লোক-ঠকানোর জন্য এই লেখা লিখেছি। আমার জ্ঞানের সীমা পরিসীমিত। শুধু এই বিষয়ে আমার আগ্রহ আছে বলেই লিখেছি। আমি আমার সাধ্যমতো লিখেছি।) তা মন ভরে গ্রহণ করলাম। কিন্তু একটা কথা- ‘বই খুলে মনের আনন্দে’ লেখার চাইতে মনের দুঃখে বই বন্ধ করে লিখলে আরো ভালো হয়না কি? আর এটা করলেই আপনি বুঝতে পারবেন, কেন আমরা লিখিনা! উত্তর আছে কিন্তু কাজও আছে তাই এতগুলো প্রশ্নের উত্তর আর আজ দিলাম না, অবসরে অবশ্যই দেব। ‘আমার মতো সামান্য কলমচির ব্লগ পড়ে বিরক্তি উগরাতে হতো না। আমার লেখার আনন্দটাও আমার নিজস্ব থাকত।’ আর এই কথাটাই প্রমান করে আপনার সাহিত্য সমালোচনার যোগ্যতার মাপকাঠি, আনন্দের মাত্রাজ্ঞান। পারলে দুর্গাশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের ‘সমালোচনা’ বিষয়ক বইটা পড়ে নেবেন।
ইতি- বিরক্তকরপ্রাণী
অর্ণব দত্ত
জুলাই 5, 2011 at 10:04 অপরাহ্ন
যাক, অন্তত আমার অবস্থানটা আপনাকে বোঝাতে পেরেছি!
অর্ণব দত্ত
জুলাই 5, 2011 at 10:16 অপরাহ্ন
অবশ্য এও দাবি করছি না, আমার সাহিত্য সমালোচনার যোগ্যতা আদৌ আছে। আনন্দ-বেদনার অনুভূতি আছে বটে, তবে মাত্রাজ্ঞান আছে, সেটাও দাবি করি না। যা লিখি, তা ব্যক্তিগত ব্লগেই থাকে, তার বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করি না (সার্চ ইঞ্জিন আমার লেখা দেখালে, তার দায় সার্চ ইঞ্জিনের, আমার নয়)। অতএব, তাতে দর্শন থাকুক না থাকুক, কার কী যায় আসে? ভাল না লাগলে, আপনার পৃষ্ঠাটি সটান বন্ধ করে দেওয়ার পূর্ণ অধিকার কি নেই?